দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ অক্টোবর: জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও হেলমেট-হীন বেপরোয়া বাইক যাত্রা চলছেই। ফলে, উৎসবের মধ্যেই নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন! অষ্টমীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরে দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২৭ বছরের এক যুবকের। গুরুতর আহত ৫ জন। ৩ জন চিকিৎসাধীন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ২ জন চিকিৎসাধীন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত যুবকের নাম সৈয়দ আমির আলি (২৭)। তার বাড়ি ঘাটালের ঘোলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ তিন বন্ধু একটি বাইকে চেপে ঘাটাল থেকে খড়ারের দিকে যাচ্ছিল ঠাকুর দেখতে। ঘাটাল থানার দন্দিপুর মোড়ে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মারুতি ভ্যানের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সেই সময় ওই এলাকাতেই ছিলেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলই। তাঁর তৎপরতায় তিনজনকেই উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাইকের চালক আমির আলিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অন্য দুই আরোহী নাসির আলি, শেখ জিয়ায়ুল ইসলাম সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। জানা গেছে, তাদের কারুর মাথাতেই ছিলনা হেলমেট! বাইকের গতিও ছিল তীব্র। ফলে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে যায় উৎসবের রাতে!
অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহরে ঢোকার মুখে কেরানীচটিতেও রাত্রি ৯ টা নাগাদ একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তিন বন্ধু একটি স্কুটিতে চেপে, শালবনী থেকে মেদিনীপুর শহরের দিকে আসছিল। কেরানীচটির কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপরেই পড়ে যায় তারা। বাইকের গতিবেগ ছিল অত্যন্ত বেশি। মাথায় ছিলনা হেলমেট। ফলে তিনজনই গুরুতর জখম হয়। তাদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। আপাতত তিনজনই কিছুটা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। তিন যুবকের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। তবে, বেপরোয়া বাইক চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, পুজোর মুখেও জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বারবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন, জাতীয় সড়কে উঠলেই হেলমেট বাধ্যতামূলক। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার রাতে ৬০ নং জাতীয় সড়কে বিনা হেলমেটে সওয়ার করে, এই তিন যুবক দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। প্রশ্ন একটাই, এরপরও কি হুঁশ ফিরবে সাধারণ মানুষের!