thebengalpost.net
উল্লেখযোগ্য সালগুলি দিয়ে মাইলফলক :

তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জানুয়ারি: মাইলস্টোন (Milestone) বা ‘মাইলফলক’ তাঁর জীবনের স্মরণীয় এক অধ্যায়। আর, সেই অধ্যায় ‘ইতিহাস’ রূপে আজও অক্ষয় হয়ে আছে বাঙালির জীবনে! তিনি, বীরসিংহের (তথা, মেদিনীপুরের) ‘সিংহশিশু’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে চড়ে বীরসিংহ গ্রাম থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে ‘মাইলস্টোন’ দেখেই শিখেছিলেন ইংরেজি সংখ্যা। আর, সেই মাইলস্টোন বা মাইলফলক দিয়েই সাজানো হচ্ছে বীরসিংহ গ্রামের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরকে! মাইলস্টোনে তুলে ধরা হয়েছে বিদ্যাসাগরের জীবনের একাধিক ঘটনা ও উল্লেখযোগ্য বছরগুলি। করোনার জেরে বিদ্যাসাগর মেলা পিছিয়ে এবার করা হয়েছে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। তার আগেই বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে বিদ্যাসাগরের জীবনের একধিক ঘটনা তুলে ধরতে, এভাবেই সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ।

thebengalpost.net
উল্লেখযোগ্য সালগুলি দিয়ে মাইলফলক :

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন :

প্রসঙ্গত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেছেন ১৮২০’র ২৬ সেপ্টেম্বর। তারপর ধাপে ধাপে ১৮২৮ সালে কলকাতায় গমন এবং সংস্কৃত কলেজে পড়াশোনা ১৮২৯ থেকে ১৮৪১ অবধি। এর মাঝেই, বিদ্যাসাগরের বিবাহ ১৮৩৪ সালে এবং ১৮৩৯ এ ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যোগদান ১৮৪১ সাল। এরপর একে একে, ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ (১৮৪৭), ‘বর্ণপরিচয়’ (১৮৫৫), ‘সীতার বনবাস’ (১৮৬০), ‘ভ্রান্তিবিলাস’ (১৮৬৯) প্রভৃতি বই রচনা। ১৮৫৬-তে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবদান ‘বিধবা বিবাহ প্রচলন’। ১৮৯১ এর ২৯ জুলাই তাঁর মহাপ্রয়াণ! এই সমস্ত উল্লেখযোগ্য বছরগুলি দিয়েই ১৪-টি মাইলস্টোন বা প্রস্তরফলক স্থাপন করা হয়েছে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে, যা রীতিমতো শিহরণ জাগাতে পারে পর্যটকদের হৃদয়ে! এমনটাই মনে করছে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের কর্মকর্তারা। যদিও, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী দাবি তুলেছিলেন বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরকে ঢেলে সাজানো হোক। অনেকেই বলছিলেন যে, বিদ্যাসাগরের বীরসিংহ গ্রামে আসার পর পর্যটকদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হত! তাঁরা নাকি এমনও বলতেন, বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত এলাকায় দেখার মতো কিছুই নেই। অবশেষে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ড. রশ্মি কমলের তৎপরতায় বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির ও বীরসিংহ গ্রাম ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করে। বিদ্যাসাগরের ছবি দিয়ে দেওয়ালে দেওয়ালে সাজিয়ে তোলা হয়েছে তাঁর স্মৃতি কথা। শুধু তাই নয়, বিদ্যাসাগরের আমলের কাঁচা মাটির বিদ্যালয়টিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এমনকি, বিদ্যাসাগর পুষ্করিনীটিকেও সৌন্দর্যমন্ডিত করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে, বিদ্যাসাগরের জন্ম ভিটে ঘুরতে এলে, যাতে মন ভরে যায় পর্যটকদের, সেই পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছে।

thebengalpost.net
দেওয়াল জুড়ে স্মৃতিকথা :

thebengalpost.net
সেজে উঠছে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির :