দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৩ জুন: হাতির পালকে তাক করে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর এক জ্বলন্ত হুলা (বা, আগুনের গোলা)! যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে জঙ্গলে প্রবেশ করছে ছোট-বড় একাধিক হাতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই নির্মমতার ভিডিও। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে খড়্গপুর বনবিভাগের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের সাঁকরাইল বিটের হাড়িভাঙ্গা এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকায় প্রবেশ করে ২১-টি হাতির একটি বিশাল দল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে কৃষকরা। হাতির পালকে ওই এলাকা থেকে বের করতে (ড্রাইভ করতে) পৌঁছন বনকর্মী ও হুলা পার্টির সদস্যরাও। তাঁদের উপস্থিতিতেই হাতির পালকে যখন সাঁকরাইল থেকে চাঁদাবিলার দিকে পাঠানো হচ্ছিল, সেই সময়ই হাতির দিকে তাক করে একদল যুবক জ্বলন্ত হুলা ছুঁড়তে শুরু করেন। আতঙ্কে ও যন্ত্রণায় ছোট-বড় হাতিগুলি কাতরাতে থাকলে, পাশবিকভাবে উল্লাস করতে থাকেন ‘পাষণ্ড’ ওই যুবকরা!

thebengalpost.net
আগুনের গোলা হাতির দিকে:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

বৃহস্পতিবার নেটমাধ্যমে সেই ছবি (ভিডিও) ছড়িয়ে পড়তেই গর্জে ওঠেন খড়্গপুরের একদল পশুপ্রেমীরা। কমলজিৎ সিং নামে খড়্গপুরের এক পশুপ্রেমী বলেন, “অমানবিক ঘটনা। বনকর্মী ও আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই জ্বলন্ত হুলা ছোঁড়া হয়েছে। বনদপ্তর কোন ব্যবস্থা নেয়নি।” এর ফলে একাধিক হাতি গুরুতরভাবে জখম হয়েছে বলেও কমলজিৎ সহ পশুপ্রেমীদের তাঁদের দাবি। যদিও, হাতিদের আহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি বনদপ্তর। তবে, এই ঘটনা যে নিন্দনীয় এবং অনৈতিক, তা মেনে নিয়েছেন খড়্গপুর ডিভিশনের ডিএফও (DFO) মনীষ যাদব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “আমরাও পরে এই ভিডিও দেখি। হাঁড়িভাঙ্গা এলাকায় হাতির দলটি যখন রাস্তা পারাপার করছিল, তখন কয়েকশো গ্রামবাসী জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকেই এই কাজ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি। তবে, আমরা এখনো তাঁদের চিহ্নিত করতে পারিনি। আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরকম কাজ করা যায়না। অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।”

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):