দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মার্চ: সেই রাজকীয় চাল! অত্যুৎসাহী জনতার শত চিৎকারেও ভ্রুক্ষেপহীন রামলাল! শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর পিড়াকাটা সংলগ্ন কলসিভাঙার সরকারি (খাদ্য দপ্তরের) চাল গোডাউনের সাটার ভেঙে, চালের বস্তা বের করে মহানন্দে চাল খেল জঙ্গলমহলবাসীর ‘প্রিয়’ দলছুট দাঁতাল রামলাল। আর, সেই দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন কয়েকশো উৎসাহী জনতা। কিছুক্ষণ পর রাজকীয় মেজাজেই হেলে-দুলে সেখান থেকে বিদায় নেয় সুবিশাল এই পূর্ণ বয়স্ক হাতিটি।

thebengalpost.net
সাটার ভাঙছে রামলাল:

thebengalpost.net
চালের বস্তা বের করল রামলাল:

উল্লেখ্য যে, একটা সময় পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম-পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে পূর্ণ বয়স্ক রামলাল। খাবারের সন্ধানে বেশিরভাগ সময় সরাসরি লোকালয়ে পৌঁছে গেলেও, রামলাল সাধারণ মানুষ বা গবাদি পশুর উপর তেমন হামলা চালায়নি বলেই জানা যায়। বিশেষ উত্যক্ত না করলে, শান্ত প্রকৃতির এই হাতিটি মানুষের দিকে তেড়েও যায়নি! তাই, জঙ্গলমহলবাসীর কাছে সে ‘প্রিয়’ রামলাল। গত কয়েক মাস আগে অবশ্য রামলাল বাঁকুড়ায় পৌঁছে গিয়ে ‘দলছুট’ থেকে ‘দলনেতা’য় পরিণত হয়েছিল। তবে, বেশিদিন অবশ্য দলনেতা হয়ে থাকতে পারেনি পূর্ণবয়স্ক এই দাঁতালটি। গত কয়েক দিন আগেই ফের ফিরে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে। ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যাচ্ছে লোকালয়ে। শুক্রবার সকাল ৮টা-৯টা নাগাদ চালের গন্ধ পেয়ে সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিল সরকারি চালের গোডাউনে। তারপর, সেই ‘পুরানো’ মেজাজে গোডাউনের লোহার সাটার বা দরজা ভেঙে বস্তা বের করে চাল খায় রাজকীয় ভঙ্গিতে! অত্যুতসাহী জনগণের চিল-চিৎকারেও বিশেষ কর্ণপাত করেনি রামলাল।

thebengalpost.net
চাল খেল রামলাল:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):