দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ নভেম্বর: একেই বোধহয় বলে “যে রক্ষক সেই ভক্ষক”! নাবালিকা কন্যাকে শ্লীলতাহানি করার দায়ে অভিযুক্ত সৎ বাবা (Step Father)। স্ত্রী’র অর্থাৎ নাবালিকা কন্যার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ‘গুনধর’কে। ঘটনাটি ঘটেছে, খড়গপুর পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের টাউন হল লাগোয়া কালীনগর বস্তি এলাকায়। অভিযুক্তের নাম মোহন রায়। বয়স ৩৬। তাঁকে খড়্গপুর টাউন থানা পকসো (Pocso) ধারায় গ্রেফতার করে, মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে তুলেছিল। তদন্তের জন্য অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। খড়্গপুরের সেশন জর্জ কোর্ট (সেকেন্ড) ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
জানা গেছে, বছর ৩৬ এর মোহন রাও প্রথম পক্ষের স্ত্রী’র মৃত্যুর পর এক মহিলাকে (নাবালিকার সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ের নাম গোপন রাখা হল) বিয়ে করে। থাকত খড়্গপুর শহরের ১৮ নং ওয়ার্ডের কালীনগর বস্তি এলাকায়। মহিলারাও পূর্বে একজনের সাথে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর প্রথম পক্ষের ১০ বছরের মেয়ে তাঁদের সঙ্গেই থাকত। ওই নাবালিকা কন্যাকেই তাঁর অনুপস্থিতিতে সোমবার যৌন নিপীড়ন বা শ্রীলতাহানি করেছে মোহন রাও, এমনটাই খড়্গপুর টাউন থানায় মঙ্গলবার সকালে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। নিগ্রহের কথা মাকে জানায় নাবালিকা। তার কথা শুনেই পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্ততেই মোহন রায়কে গ্রেপ্তার করে টাউন থানার পুলিশ। অভিযোগ যে, কুকর্মের পর ১০ বছরের নাবালিকাকে হুমকিও দিয়েছিল মোহন, যাতে সে কাউকে কিছু না জানায়! তবে, ভয় ভেঙে নিজের মাকে সবকিছু জানায় নাবালিকা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ ওই গুণধর যুবক-কে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য যে, মাত্র দু’দিন আগেই ১৫ বছরের মূক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল খড়গপুর টাউন থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড সেটলমেন্ট এলাকায়। সেই ঘটনায় কে. অরবিন্দ নামে ২৪ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরপর এমন ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে শহরবাসীর!