দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ নভেম্বর:’ভাইফোঁটা’র পবিত্র দিনেই অসহায় এক মূক ও বধির কন্যাকে ধর্ষণ করলো পাড়ারই এক গুণধর দাদা! মা-কে হারানো একপ্রকার অভিভাবকহীন ১৫ বছরের ওই কিশোরী’র চরম অসহায়তার সুযোগ নিয়ে, তাকে বাড়ি থেকে বাইকে করে তুলে নিয়ে গিয়ে রেলের একটি বন্ধ থাকা পাম্প হাউসে রেখে বিকেল থেকে রাত অবধি হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ‘পাষণ্ড’ এক যুবকের বিরুদ্ধে! ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের গিরি ময়দান সংলগ্ন ওল্ড সেটেলমেন্ট এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত কে. অরভিন্দ নামে বছর ২৪ এর যুবককে গ্রেফতার করেছে। আদালতে তোলা হলে আপাতত তার ৪ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর পৌর প্রশাসক প্রদীপ সরকার। তিনি অভিযুক্ত যুবকের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন! তাঁর মতে, “বিজেপি ঘনিষ্ঠ ওই যুবক কিভাবে রেলের পাম্প হাউসের চাবি পেল, তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের বিরলতম শাস্তি হোক।” যদিও, এই ঘটনায় রাজনীতি-যোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

thebengalpost.net
এই পাম্প হাউসেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনা, ঘটনাস্থলে প্রদীপ সরকার :

অভিযোগ, শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ কিশোরীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে নিজের মোটরবাইকে চাপিয়ে নিয়ে যায় অরভিন্দ নামে ওই যুবক। কিশোরীর বাড়ি থেকে প্রায় দেড়শো মিটার দূরে গিরি ময়দান রেলস্টেশনের উল্টো দিকে রেলের এক পাম্পহাউসে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ করে অরভিন্দ। হাত-পা বেঁধে সেখানেই কিশোরীকে বন্দী করে রাখে ওই যুবক। রাত বারোটা নাগাদ কোনওভাবে নিজেকে বাঁধনমুক্ত করে বাড়িতে ফেরে কিশোরী। এরপরই, বাড়ির সকলকে ঘটনার কথা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয় কিশোরী। রবিবার সকাল থেকে তোলপাড় শুরু হয় এলাকায়। সম্প্রতি মাকে হারিয়েছে ওই কিশোরী। বাবাও তার খেয়াল রাখেনা! দাদু-ঠাকুমার কাছে থাকে। কিশোরীর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে পাষণ্ড যুবক নৃশংস ভাবে কিশোরীর উপর অত্যাচার চালায় বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রাণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন নাবালিকার ঠাকুমা। তাকে গ্রেফতার করে, পকসো আইনে মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে।” খড়্গপুর টাউন থানা সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের জন্য ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ। বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

thebengalpost.net
অভিযুক্ত যুবক কে. অরভিন্দ :