মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর: ৩৯ তম তাঁত বস্ত্র মেলা-র উদ্বোধন হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে। মঙ্গলবার বিকেলে ঐতিহ্যবাহী এই তাঁত মেলা-র উদ্বোধন করলেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল, বিধায়ক তথা এমকেডিএ (MKDA) চেয়ারম্যান দীনেন রায়, বিধায়িকা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, বিধায়ক তথা সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি এবং সমাজসেবী সুজয় হাজরা। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এই মেলা চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকেই জেলার তাঁত-তসর-রেশম-খাদি-মাদুর কাঠি সহ সমস্ত হস্তচালিত শিল্প তথা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার শপথ নেওয়া হল! ক্ষুদ্র, বস্ত্র ও কুটির শিল্প প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত-র উপস্থিতিতে রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী (জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রী) ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া জেলার বস্ত্র শিল্প তথা হস্ত শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে একদিকে যেমন শিল্পীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কথা বললেন, ঠিক তেমনই মেদিনীপুরের এই ধরনের শিল্প-কে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার বার্তাও দিলেন।

thebengalpost.net
তাঁত বস্ত্র মেলা- ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে :

thebengalpost.net
উদ্বোধনে‌ মন্ত্রীরা :

এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র তথা রাজ্যের অভিজ্ঞ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া বললেন, “বাংলার তাঁত পৃথিবী বিখ্যাত। তাঁত শিল্পের প্রসারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ অনস্বীকার্য। বাম আমলে ধুঁকতে থাকা তন্তুজ, মঞ্জুষা প্রভৃতি এখন লাভের মুখ দেখছে। আমাদের মেদিনীপুরেও প্রতিভাবান তাঁত শিল্পীরা রয়েছেন। আছেন গোপীবল্লভপুর, কেশিয়াড়ির রেশম শিল্পীরা, তসর শিল্পীরা, সবংয়ের মাদুর শিল্পীরা। মেদিনীপুর-কে কেন্দ্র করে হস্ত শিল্পের হাব গড়ে উঠতে পারে। আমি যখন এই দপ্তরের মন্ত্রী ছিলাম, বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ২৫ একর একটি জায়গা কেনা হয়েছিল জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারের জন্য। সেখানে এই হাব গড়ে উঠতে পারে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এতে উৎসাহী। বিষয়টি আমি জেলাশাসক ও দপ্তরের মন্ত্রী সহ সকলকেই গুরুত্ব দিতে বলছি।” তিনি এও বলেন, “খড়্গপুর গ্রামীণের বলরামপুরে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত যে ‘অভয় আশ্রম’ আছে বিশাল এলাকাজুড়ে, সেটি কেন্দ্রীয় সরকারের খাদি কমিশনের অধীনে আছে। বর্তমানে, অযত্নে-অবহেলায় সেখানকার শিল্পীরা মার খাচ্ছেন! এটি যদি রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও বস্ত্র শিল্পের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণ করে কিংবা খাদি কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করে চালানো যায়, তাতে শিল্পীরা উপকৃত হবেন।” তিনি জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল ও মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত-কে তা পরিদর্শন করার জন্য অনুরোধও করেন। তাঁর প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন জেলাশাসক রশ্মি কমল এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত।

thebengalpost.net
মেলায় :