দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ জুন: আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে যে বর্ষণ শুরু হয়েছিল, তা চলছে চতুর্থ দিবসেও। আর, ইয়শ (Yaas) পরবর্তী সময়ে টানা তিন-চারদিনের এই বৃষ্টিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে! ঘাটাল শহরে জল ঢুকছে হু হু করে। ইতিমধ্যে, ১০ টি ওয়ার্ড সম্পূর্ণভাবে এবং ২ টি ওয়ার্ড আংশিকভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ৩ টি ওয়ার্ডে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা। সরকারি ভাবেই এই নৌকা নামানো হয়েছে। অন্যদিকে, ঘাটাল শহরের পুরাতন বাসট্যান্ড এলাকার দোকানদাররা দোকান থেকে জিনিসপত্র নিরাপদ জায়গায় সরাতে শুরু করেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এনডিআরএফের একটি টিমকে। এছাড়াও, প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে প্রশাসন। অপরদিকে, ঝুমি নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল ব্লকের মনশুকা-১, মনশুকা-২, ইড়পালা ও সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এভাবে, টানা আরো দু’একদিন বৃষ্টি হলে কিংবা জলাধার থেকে আরও বেশি জল ছাড়লে ঘাটালে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে!

thebengalpost.in
ঘাটাল জলমগ্ন :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতিবৃষ্টি হলেই ফি বছর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ঘাটালে। শিলাবতী, রূপনারায়ণ, ঝুমি, কেঠিয়া নদীর জলে প্লাবিত হয় ঘাটাল শহর সহ গ্রামীণ এলাকা। এবার অবশ্য, ঝুমি নদী প্রথম থেকেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। হুগলি জেলার গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বর নদীতে অতিরিক্ত জল বাড়ায় ঝুমি নদী ফুঁসছে! ফলে, প্লাবিত হয়েছে মনশুকা, সুলতানপুর, ইড়পালা সহ কিছু এলাকা। ঘাটালের মনশুকা এলাকায় জলের তোড়ে ঝুমি নদীর উপর থাকা দুটি বড় কাঠের সেতু ভেঙে গেছে। অবশ্য, বেশ কিছু বাঁশের সাঁকো ভেঙেছে ডেবরা, গড়বেতা ও মেদিনীপুর সদর ব্লক এলাকাতেও। নদী বাঁধে নজরদারি চালাচ্ছে সেচ দপ্তর। অন্যদিকে, ঘাটালের পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৎপর ঘাটাল ব্লক ও মহকুমা প্রশাসন। ঘাটালের মহকুমা শাসক শৌভিক চট্টোপাধায় জানিয়েছেন, “প্রাথমিক ভাবে বৈঠক করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঘাটাল পৌরসভা এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। মশুকার দিকে কিছু এলাকায় জল ঢুকেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ঘাটালে একটি এনডিআরএফ এর টিম রয়েছে। পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।”

thebengalpost.in
প্রস্তুত এন ডি আর এফ টিম :