দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ জুলাই: ফের সিদ্ধান্ত বদল করা হলো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে। আগামীকাল, ৮ ই জুলাই থেকে ১৫ ই জুলাই পর্যন্ত “মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন” (Micro Containment Zone) এর অধীনে থাকছে মেদিনীপুর পৌরসভার ১, ২, ৪, ১৯ নং ওয়ার্ড; খড়্গপুর পৌরসভার ১৩, ১৫, ৩১, ৩২, ৩৫ নং ওয়ার্ড এবং ঘাটাল, গড়বেতা (৩ নং), কেশিয়াড়ি ও বেলদা-নারায়ণগড়ের কিছুকিছু এলাকা গন্ডীবদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু, শহর মেদিনীপুর আর খড়্গপুররের পুরো এলাকাই গন্ডীবদ্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল মঙ্গলবার রাতের বিজ্ঞপ্তি’তে। এরপরই, ৭ দিন পুরো মেদিনীপুর-খড়্গপুর কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে চলে যাবে, এই আশঙ্কায় দুই শহরের হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন বাজার-হাট, দোকান থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক ও আদালতে। কারণ, কনটেনমেন্ট হলে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকার কথা! এই আশঙ্কাতে “করোনা ভীতি” উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ভিড়ের মধ্যে, অনেক বেশি দামে জিনিসপত্র কিনলেন। আর, সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরাও আলু, পেঁয়াজ থেকে মাছ ও সবজির প্রায় দ্বিগুণ দাম নিলেন! আর, বাড়ি ফিরে জানতে পারলেন কয়েকটি নির্দিষ্ট ওয়ার্ড “মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন” হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রুখতে মেদিনীপুর-খড়্গপুর পৌরসভার পুরো এলাকা এবং জেলার আরও ৪ টি এলাকা আজ (৭ ই জুলাই) থেকে গন্ডীবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রথমে। তারপর, রাত্রি ১১ টা নাগাদ জানানো হয়, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামীকাল থেকে তা কার্যকর করা হবে। ফের বিতর্ক শুরু হয়, কয়েকটি এলাকা বা বাড়িতে সংক্রমিতরা আছেন, তবে পুরো শহরকে কষ্ট দেওয়া কেন! এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাসকদলের একাধিক নেতৃত্বও। তারপরই ফের সিদ্ধান্ত বদল করে জেলা প্রশাসন। আজ দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ জানানো হয়, পুরো শহর নয়, মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের নির্দিষ্ট কয়েকটি ওয়ার্ডে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন (স্বল্প পরিসরের গন্ডীবদ্ধ এলাকা) করা হচ্ছে। মেদিনীপুর শহরের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড (সিপাই বাজার, হবিবপুর, গির্জা, আবাস, কুইকোটা প্রভৃতি); ৪ নং ওয়ার্ড (তাঁতিগেড়িয়া, অশোকনগর প্রভৃতি) এবং ১৯ নং ওয়ার্ড (পাটনা বাজার, সাহেব পুকুর প্রভৃতি) গন্ডীবদ্ধ করা হলো। তবে, কনটেনমেন্ট থাকবে ১৫ ই জুলাই পর্যন্ত, আগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ১৪ ই জুলাই পর্যন্ত। অবশ্য তার আগেই, শহরবাসী করোনা ভীতি উপেক্ষা করেই ৭ দিনের ব্যাগভর্তি বাজার করে নিয়েছেন!