মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ই জুলাই: করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি প্রতিহত করতে, বিভিন্ন এলাকা “মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন” করা হচ্ছে সরকারি নির্দেশানুসারে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও “মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন” বা স্বল্প পরিসরের গন্ডীবদ্ধ এলাকা তৈরি করা হচ্ছে গত ১৭ ই জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ ই জুলাই জেলা প্রশাসনের বৈঠকে জেলায় নতুন করে ৬ টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট বা গন্ডীবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার, ৭ ই জুলাই থেকে আগামী ১৪ ই জুলাই পর্যন্ত এই এলাকাগুলিকে “মাইক্রো কনটেনমেন্ট” জোনের আওতায় নিয়ে আসার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। তবে, মঙ্গলবার রাতে এই ঘোষণা হওয়ার ফলে, সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়তে পারেন, বিভিন্ন মহল থেকে এরকম বার্তা পৌঁছে যায় জেলা প্রশাসনের অন্দরে। তারপরই মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলা প্রশাসনের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, বুধবার অর্থাৎ ৭ ই জুলাই নয়, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৮ ই জুলাই থেকে এই লকডাউন বিধি বা কনটেনমেন্ট বিধি কার্যকর করা হবে।

thebengalpost.in
মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন এই এলাকাগুলি (৮-১৪ জুলাই) :

***পুরো মেদিনীপুর ও খড়্গপুর কনটেনমেন্ট জোন করা হচ্ছেনা! ঘোষণা জেলা প্রশাসনের….

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর ও খড়্গপুর পৌরসভার সম্পূর্ণ অংশ কনটেনমেন্ট বা গন্ডীবদ্ধ হচ্ছে, ফলে এই দুই এলাকার একটা বিশাল অংশের মানুষের অসুবিধা হতো বুধবার থেকে এই বিধি কার্যকর হলে। তাই, বুধবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার থেকে এই বিধি কার্যকর হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, ঘাটাল, বেলদা-নারায়ণগড়, গড়বেতা ৩ নং এর সাতবাঁকুড়া ও কেশিয়াড়ির কয়েকটি এলাকাও যথারীতি ৮ ই জুলাই থেকে ১৪ ই জুলাই পর্যন্ত কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে। জরুরী পরিষেবা ছাড়া এই এলাকাগুলিতে সবকিছুই বন্ধ থাকবে। প্রশাসনের তরফে জানা গেছে যে, এই সমস্ত এলাকাগুলিতে বুধবার পুলিশ প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হবে, জরুরী পরিষেবার মধ্যে কোন কোন দোকান কতক্ষণ খোলা থাকবে। তবে, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাকি সবকিছুই বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।