দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, সায়ক পন্ডা, ২৩ অক্টোবর: লাগাতার টেস্ট এবং ১০০ কোটির ওপর টিকাকরণ হয়ে গেলেও দেশজুড়ে নতুন করে তৈরি হচ্ছে করোনার আতঙ্ক! শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩২৬ জন। শুক্রবারের চেয়ে এই সংখ্যাটা প্রায় ৬০০ জন বেশি। পাশাপাশি, লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। করোনার কারণে গত একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৬৬ জন। শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ২৩১। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭২৮। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৭৭ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গতকাল ১৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দেশে।

thebengalpost.net
দেশের করোনা বুলেটিন :

এদিকে, রাজ্যেও অনেকটাই বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। পাশাপাশি, বেড়েছে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৪ জন। শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ৮৪৬। শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৮ জন। গত একদিনে করোনার কারণে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার জেরে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৫ জন। আপাতত, রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৬৬। গত একদিনে রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮০৮ জন। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.৩১ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৭৩১ জন। গত একদিনে মোট ৪৩ হাজার ১৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে রাজ্যে।

thebengalpost.net
রাজ্যের করোনা বুলেটিন :

এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গত ২ দিনে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন যথাক্রমে ২০ জন ও ১৮ জন (টেস্ট হয়েছে প্রতিদিন ২২০০’র কাছাকাছি)। এর মধ্যে, শুক্রবার যে ২০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল, তাতে ১২ জনই খড়্গপুরের। রেল সূত্রে ৫ জন ও গ্রামীণের ২ জন। বাকি ৫ জন শহরের বাসিন্দা। অন্যদিকে, মেদিনীপুরে ৩ জন, ঘাটাল মহকুমায় ৩ জন ও ডেবরায় ২ জন। অপরদিকে, শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী যে ১৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তার মধ্যে খড়্গপুরের ১১ জন। এর মধ্যে, রেল সূত্রে ৪ জন ও শহরের ৭ জন। মেদিনীপুর শহরের ৫ জন। গোয়ালতোড়ের ১ জন ও নারায়ণগড়ের ১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। রাজধানী কলকাতা থেকে শুরু করে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন শহরে যেভাবে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে বিধি ভাঙা পুজোর প্রভাব পড়েছে বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা!