দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ জুন: স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি না নিয়েই রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে কোভিড ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প বা করোনা টিকাকরণ শিবির আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছিল যথাক্রমে খড়্গপুর ও মেদিনীপুরের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ১৮ উর্ধ্বদের কাছ থেকে এজন্য নির্দিষ্ট টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে, অগ্রিম টাকা দিয়ে নাম লেখানোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, কিছুজন ইতিমধ্যে নাম লিখিয়েও দিয়েছিলেন। পরে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে এই বিষয়ে খবর যায়। দেখা যায় যে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি না নিয়েই এই শিবির করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। খড়্গপুরের মহাকুমাশাসক ও অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফে ওই সংস্থাকে শিবির বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে মেদিনীপুর শহরেও যে শিবির করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল, তাও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই, ফের শনিবার রাতে ওই সংস্থার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেওয়া হয়- “আমরা যে টিকাকরণ শিবির আয়োজন করার কথা জানিয়েছিলাম। বিশেষ কারণে তা করতে পারছিনা। আমরা আসলে একটা প্রাথমিক সার্ভে করতে চাইছিলাম কতজন ভ্যাকসিনেশনে উৎসাহী। যাইহোক, আপনারা দ্রুত সরকারি উদ্যোগে করোনা টিকা নিন।”

thebengalpost.in
অনুমতি বিহীন ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প বন্ধ করলো জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর :

প্রসঙ্গত, দেবাঞ্জন কাণ্ডের পরই রাজ্যজুড়ে ভুয়ো বা অনুমতি-হীন ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের বিষয়ে তৎপরতা দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নিজস্ব অ্যাপ কিংবা কো-উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন না করলে কোনো সংস্থা’কেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবেনা। এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতিও প্রয়োজন। এরপরই, পশ্চিম মেদিনীপুরের অনুমতি-বিহীন করোনা টিকাকরন শিবির বন্ধ করার উদ্যোগ নেয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ওই সংস্থাগুলো’কে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। এই বিষয়ে রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “এই ধরনের টিকাকরণ শিবির করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি ছাড়াই, যারা টিকাকরণ শিবির আয়োজনের চেষ্টা করছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।” অপরদিকে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিমাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, “জেলায় একমাত্র স্পন্দন বেসরকারি হাসপাতালের তরফে অনুমতি নিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে এখন তা বন্ধ আছে। এছাড়া, সেন্ট জোসেফ হাসপাতালের পক্ষ থেকে আবেদন করেছে, কিন্তু এখনও অনুমতি পায়নি। বাকি, যারা আয়োজনের চেষ্টা করছিলেন, তাদের কোনও অনুমতি ছিল না। তাই, শোকজ করা হয়েছে ওই সংস্থাগুলিকে।”