দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৭ জুন: এস এস কে এম (SSKM) বা পিজি হাসপাতালে পোষ্য কুকুরের ডায়ালিসিসের চেষ্টা, হুমকি, স্বজনপোষন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভুল ইতিহাস বর্ণন থেকে শুরু করে এবার ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক দেবাংশী সাহার অনৈতিক কাজের সৌজন্যে ফের কালিমালিপ্ত হলেন চিকিৎসক-বিধায়ক নির্মল মাজি। ১১ লক্ষ টাকার ২৬ টি জীবনদায়ী টসিলিজুমাব উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায়, তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করেছে নির্মল ঘনিষ্ঠ দেবাংশী’কে! যদিও, এর সাথে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন বলে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নির্মল মাজি। প্রসঙ্গত, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন-কাণ্ডে জোড়া রিপোর্ট জমা পড়ল রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনে। রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে চিকিৎসক দেবাংশী সাহাকে। বলা হয়েছে, নিয়ম ভেঙে তিনি ওই ইঞ্জেকশন তুলে নিয়েছিলেন!

thebengalpost.in
কলকাতা মেডিক্যাল থেকে বহুমূল্য টসিলিজুমাব উধাও কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত দেবাংশী :

উল্লেখ্য যে, রবিবার রাতে জমা পড়েছে রিপোর্ট। সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও মেডিক্যাল অফিসার বা হাউস স্টাফের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন দেওয়া যায় না। এই ইঞ্জেকশন নিতে গেলে সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার বা আরএমও র স্বাক্ষর প্রয়োজন। সেই সঙ্গে কোন রোগীর জন্য ইঞ্জেকশন নেওয়া হচ্ছে সেই কথার উল্লেখ থাকতে হবে ফর্মে। কিন্তু, এই সব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই, রীতিমতো প্রভাব খাটিয়ে ইঞ্জেকশন তুলে নিয়েছিলেন ডঃ দেবাংশী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৩ মে স্বাস্থ্য দফতর রেমডেসেভির এবং টসিলিজুমাব, এই দু’টি ইঞ্জেকশনের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রস্তুতকারক সংস্থা এই দুটি ইঞ্জেকশন শুধু নার্সিংহোম ও কোভিড হাসপাতালকেই বিক্রি করতে পারবে। আর, এর মধ্যেই জীবনদায়ী ২৬ টি ইঞ্জেকশন সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সমস্ত মহলেই সমালোচিত ডাঃ দেবাংশী সাহা। এই সুযোগে আবার নির্মলের সমালোচকেরা তাঁর সঙ্গে দেবাংশীর ছবি নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন! যা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসকদলও। এখন দেখার ২৬টি ইঞ্জেকশন উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতর কী পদক্ষেপ নেয়।