দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জুন: অতিমারী পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুলের দরজা! পঠন পাঠন চলছে অনলাইন মাধ্যমে। আর, ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে মিড-ডে মিল থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য রাজ্য সরকারের মানবিক উদ্যোগে প্রতি মাসেই মিড-ডে মিলের সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের হাতে। মাসে একবার করোনা বিধি মেনে বিদ্যালয় থেকে এই মিড ডে মিলের সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এবার, এই মিড ডে মিলের সামগ্রী বাড়িতে মজুত করে রাখার মারাত্মক অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকায়। অভিযোগ যে, দাঁতনের একামলিপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা কুঞ্জপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দৈবকি নন্দন পাল বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল সামগ্রী বিদ্যালয়ে না রেখে এবং নির্ধারিত দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের বিতরণ না করে, তা নিজের বাড়িতে মজুত করে রেখেছেন। রবিবার এ নিয়েই গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন। দেখা যায়, গ্রামবাসীদের অভিযোগ সত্যি করেই ওই প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে রাশি রাশি মজুত করা আছে, চাল-ডাল-চিনি-সোয়াবিন-সাবান প্রভৃতি! আটক করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে। তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

thebengalpost.in
ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলের সামগ্রী প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে! পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘটনায় আটক অভিযুক্ত শিক্ষক :

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের সামগ্রী স্কুলে না রেখে, অসৎ উদ্দেশ্যে তা নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে এসেছেন প্রধান শিক্ষক কুঞ্জপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দৈবকি নন্দন পাল। এদিকে, নির্ধারিত দিনে তা বিতরণ করা হয়নি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও। ক্ষুব্ধ অভিবাবকরা ওই প্রধান শিক্ষকের বাড়ির সামনে গিয়ে “মিড ডে মিলের সামগ্রী চুরির” অভিযোগ তুলে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপরে, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উপস্থিত হলে, তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসী তথা অভিভাবকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, দাঁতন থানার পুলিশ। দৈবকি নন্দন পাল নামে ওই প্রধান শিক্ষককে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। চাপের মুখে তিনি বলেন, এই সামগ্রী বাড়িতে মজুত করে রাখা তাঁর ভুল হয়েছে। জয়েন্ট বিডিও জানান, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।