দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১ জুলাই : বাংলার রূপকার তথা বিশ্ববরেণ্য চিকিৎসক ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের (১৮৮২-১৯৬২) ‘জন্মদিবস’কে স্মরণ করে ১ লা জুলাই দিনটিকে “জাতীয় চিকিৎসক দিবস” (National Doctors Day) হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিতে অবিভক্ত মেদিনীপুরের এক বিখ্যাত মানুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আর কেও নন; স্বাধীনতা সংগ্রামী, প্রাক্তন বিধায়ক ও সমাজসেবী বঙ্কিম বিহারী পাল ওরফে গুজি বাবু। যথোচিত মর্যাদায় আজ মেদিনীপুরে ভূমিপুত্র, বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী, প্রাক্তন বিধায়ক শ্রীবঙ্কিম বিহারী পাল (১৯০৫-১৯৭৯) এর ১১৭তম জন্ম জয়ন্তী পালন ও স্মরণ করা হল। এক্কেবারে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই স্মরণ কর্মসূচি উদযাপিত হয়। মেদিনীপুর এর ঐতিহ্য রক্ষায় প্রয়াসী “দ্য ভয়েস অব মিডনাপুর” এর সম্পাদক ও সমাজকর্মী শিবদেব মিত্র জানিয়েছেন, “বিংশ শতাব্দীর মেদিনীপুরের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গড়ে ওঠার দিনগুলোয়, শ্রী বঙ্কিম বিহারী পাল (১৯০৫-১৯৭৯) ওরফে গুজিবাবু এক অন্যতম নাম। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে জারিত গুজিবাবু, প্রাক স্বাধীনতা পর্বে মেদিনীপুর শহরে হরিজন আন্দোলনের অন্যতম রূপকার ছিলেন। গান গেয়ে দল বানাতেন। এমনকি বারবণিতাদেরও জুড়ে নিয়েছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল স্রোতে। আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে, বিবাহ সূত্রে বাঁধা পড়েছিলেন, এক সুন্দরী বারবণিতার সাথে। বহু স্বাধীনতা আন্দোলন আলোচনাকারীর মুখে, তাঁর ‘বেশ্যা পাড়ার মাস্টার ‘ নামটি বহুল আলোচিত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গড়ার দিনগুলোয়, মেদিনীপুর পুরসভার নানা গুরুভার সামলেছেন কৃতিত্ব ও ব্যাপক জনপ্রিয়তার সঙ্গে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর শহর শহীদ প্রশস্তি সমিতি প্রতিষ্ঠা বঙ্কিমবাবুর অন্যতম কৃতিত্ব। ১৯৭৭ এ জনতা দলের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর বিধানসভারৎবিধায়ক নির্বাচিত হন গুজিবাবু এবং ১৯৭৯ সালে কার্যকালের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মেদিনীপুর পৌরসভার সামনে আজও উজ্জ্বল রূপে অবস্থান করছে তাঁর আবক্ষ মূর্তি। বৃহস্পতিবার সেই আবক্ষ মূর্তি’তে মাল্যদান করে “দ্য ভয়েস অব মিডনাপুর” সংগঠনের তরফে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাসুদেব চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ সাহু, শিবদেব মিত্র প্রমুখ।