দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ২৭ মে:আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ (Cyclone Remal)। রাত্রি ১২টা নাগাদ সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে হল ল্যান্ডফল হল ঘূর্নিঝড়ের ‘আই’ বা ‘চোখ’ এর। তবে, আগামী চার ঘন্টা ধরে এই ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে বলে জানানো হয়েছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১২০-১৩৫ কিমি প্রতি ঘন্টা। এদিকে, ল্যান্ডফলের আগে থেকেই সুন্দরবন উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় নদীবাঁধে ভাঙন শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। উপদ্রুত এলাকাগুলি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাগর, গোসাবা, হিঙ্গলগঞ্জ, রায়দীঘি, পাথর প্রতিমা প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দাদের। একাধিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে নবান্ন (১০৭০) সহ কলকাতা ও জেলায় জেলায়। বলাই বাহুল্য, বরাবরের মতোই ঝড়ের আগে পৌঁছে গিয়েছেন ‘ক্লান্তিহীন’ কান্তি গাঙ্গুলি! রবিবার সকাল থেকেই ছাতা মাথায় দিয়ে রায়দীঘির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন ৮৫ বছরের সিপিআইএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি। যথাসাধ্য ত্রাণও পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন অশীতিপর এই বাম নেতা। দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যপালের তরফেও টাস্ক ফোর্স তৈরী করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রেমালের দাপটে ইতিমধ্যেই কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি (Heavy Rain) শুরু হয়েছে। এই সমস্ত এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, সোমবার দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি থাকবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বীরভূম, দুই দিনাজপুর, মালদাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পংয়েও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় NDRF-এর ১৪টি দল মোতায়েন রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩, উত্তর ২৪ পরগনায় ২, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ২-টি করে এবং হুগলি, হাওড়া, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় একটি করে দল মোতায়েন আছে। (আপডেট: দুর্যোগের রাতে কলকাতায় এন্টালি থানার বিবির বাগানে বাড়ির চাঙড় ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।)