দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ মে: বাবা-মা দু’জনই পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী। সঙ্গীতই তাঁদের জীবন। আর জীবিকাও। সঙ্গীতের হাত ধরেই ‘একসাথে’ পথচলাও শুরু হয়েছিল শহর মেদিনীপুরের বাসিন্দা অমিত ভৌমিক ও মিতা ভৌমিকের। মেয়ে অঙ্কিতা অবশ্য সঙ্গীতের ধারেকাছেও ঘেঁষতে চায়নি কোনোদিন! ছোট থেকেই পড়াশোনাই তার ধ্যানজ্ঞান। একটা সময় নাচটাকে ভালোবাসার চেষ্টা করলেও, পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে ভেবে তাও ছেড়ে দিয়েছে সে। লক্ষ্য একটাই ভালো পড়াশোনা করে বাবা-মা’র মুখে হাসি ফোটানো। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেই ‘সফল’ হয়ে সেই লক্ষ্যপূরণে একধাপ এগিয়েও গিয়েছে অঙ্কিতা। বুধবার প্রকাশিত ICSE-র ফলাফল বেরোতেই দেখা যায় ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে ‘প্রথম’ (সর্বভারতীয় মেধাতালিকা অনুযায়ী ‘ষষ্ঠ’) স্থান অধিকার করেছে মেদিনীপুর শহরের রয়্যাল অ্যাকাডেমি স্কুলের ছাত্রী অঙ্কিতা। অঙ্কিতার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫ (৫০০-র মধ্যে)।
তার এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত অঙ্কিতার পরিবার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। খুশিতে কেবলই চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে অমিত আর মিতার! জীবনে অনেক লড়াই করে পেশাদার জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অমিত ও মিতা। রাতের পর রাত একসাথে অনুষ্ঠান করেছেন। তারপর বাড়ি ফিরে মাত্র কয়েক ঘন্টা ঘুমিয়েই সকাল থেকে সাংসারিক দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। ফের সন্ধ্যার পর মঞ্চে উঠে হাসিমুখে দর্শকদের মন জয় করতে হয়েছে। এর মাঝে বাড়িতে গানের রিহার্সাল! মেয়ের এই নজরকাড়া ফলের পর আজ সেই দিনগুলোর কথাই কেবল মনে পড়ছে বলে জানান অমিত ও মিতা। এজন্য দু’জনই একে অপরকে কৃতিত্ব দেন! মিতার বৃদ্ধ বাবা-মা’ও এখন তাঁদের সঙ্গেই থাকেন। তার সাথে মেয়ের দিকে খেয়াল রাখা! পেশাদার জীবন আর সাংসারিক জীবন- দু’টোকে কখনও গুলিয়ে ফেলননি তাঁরা। মেয়ে অঙ্কিতাও ছোট থেকেই বাবা-মা’র কাছ থেকে শিখেছে ‘শৃঙ্খলা’। আর দেখেছে তাঁদের কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লড়াই। মিতা বলেন, “মেয়েকে কখনও বলতে হয়নি পড়তে বোস। বরং মাঝেমধ্যেই বলতে হয়, এবার অন্তত উঠে খাওয়াদাওয়া কর। একটু ছাদে যা, দাদু-দিদার সাথে গল্প কর। ছোট থেকেই পড়াশোনাটাই ওর ধ্যানজ্ঞান।”
বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় অঙ্কিতা। লক্ষ্য সর্বভারতীয় নিটে সাফল্য পাওয়া। অঙ্কিতা বলে, ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে পড়াশোনা শুরু করেছে সে। নিজের স্কুলে ‘ইতিহাস’ সৃষ্টিকারী অঙ্কিতা বার্তা দিয়েছে, “ভালোবেসে পড়াশোনা করলে সাফল্য পাওয়া যায়।” রয়্যাল অ্যাকাডেমি স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. সত্যব্রত দোলই বলেন, “অঙ্কিতা আমাদের স্কুলের গর্ব। ও যে খুব ভালো করবে, এটা আমরা আশা করেছিলাম। ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় মেধাতালিকার বিচারে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে শুধু নিজের স্কুলেরই নয়, বাবা-মা ও পরিবারেরও মুখ উজ্জ্বল করেছে আমাদের অঙ্কিতা।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুন: রবিবার (২২ জুন) দুপুর ঠিক ২টো ১…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: ১৯৭৮ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুন: ৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে ৩ লক্ষ…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৭ জুন: গ্লিসারিন কারখানায় ওয়েল্ডিং- এর কাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণ!…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুন: ২০০৮ এর পর ২০২৫। দীর্ঘ প্রায় দুই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৩ জুন: হাতির পালকে তাক করে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর…