দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ মে: মাত্র ১৩ দিনের মাথায় বদলি! রাজ্য জুড়ে শিক্ষা সংক্রান্ত একের পর এক নজিরবিহীন ঘটনার মধ্যে এ যেন এক নতুন সংযোজন। গত ২৭ এপ্রিল (২০২৩)- এর বিজ্ঞপ্তি বা নির্দেশিকা অনুযায়ী, গত ২ মে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডি.আই (সেকেন্ডারি) বা মাধ্যমিক স্তরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (District Inspector) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সৈয়দ মোমিনুর রহমান। গত ৩০ এপ্রিল চাপেশ্বর সর্দার অবসর গ্রহণ করার পর, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন রহমান। তবে, মাত্র ১৩ দিন স্থায়ী হল তাঁর কার্যকালের মেয়াদ! সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যা নাগাদ রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সৈয়দ মোমিনুর রহমান-কে উত্তরবঙ্গের কালিম্পং জেলার ডি.আই (সেকেন্ডারি) হিসেবে বদলি করা হচ্ছে। অবিলম্বে সেই জেলার দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে।

thebengalpost.net
DI সৈয়দ মোমিনুর রহমান প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে:

অপরদিকে, কালিম্পং জেলার ডি.আই (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত-কে পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) করে পাঠানো হচ্ছে। অর্থাৎ, সৈয়দ মোমিনুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন স্বপন সামন্ত। উল্লেখ্য যে, এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ADI বা অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব সামলেছেন শিক্ষা দপ্তরের এই তরুণ আধিকারিক। গত ২৭ এপ্রিল রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডি.আই এর দায়িত্ব দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ৩০ এপ্রিল চাপেশ্বর সর্দার অবসর গ্রহণ করার পরই, ২ মে (১ মে ছুটি থাকায়) দায়িত্ব নিয়েছিলেন রহমান। তবে, কি এমন ঘটলো যে, মাত্র ১৩ দিনের মাথায় এই আধিকারিককে বদলি করা হল? উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থেকে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। এমনকি, শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের (তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি) তরফেও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ASFHM-এর জেলা শাখার সভাপতি ড. অমিতেশ চৌধুরী সোমবার রাতে জানান, “আমরা সংগঠনের তরফে এক সপ্তাহ আগেই ওঁকে (মোমিনুর রহমান) সংবর্ধনা দিয়ে, জেলার শিক্ষা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। উনিও বিষয়গুলি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বাকিটা তো শিক্ষা দপ্তরের বিষয়। কি কারণে এত দ্রুত বদলি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়!” এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ‘বিভাগীয় বিষয়’ বলে এড়িয়ে গিয়েছেন সৈয়দ মোমিনুর রহমানও।