দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ অক্টোবর: প্রথম বদলির সরকারি নির্দেশিকা এসে পৌঁছয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর (২০২২)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডি.আই (প্রাথমিক) তরুণ সরকার-কে বদলি করা হয় শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির ডি.আই (প্রাথমিক)-কে পাঠানো হয় পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে, সেই নির্দেশিকা সঠিক সময়ে পালিত হয়না বলেই, পুনরায় গত ১৯ অক্টোবর (২০২২) জরুরী নির্দেশিকা পাঠানো হয় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। নির্দেশ দেওয়া হয়, অবিলম্বে (‘without further delay’) ২৯ সেপ্টেম্বরের বদলির অর্ডার মেনে যথাক্রমে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডি.আই (প্রাথমিক) এবং শিলিগুড়ির ডি.আই (প্রাথমিক)-কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে মাধ্যমিকের ডি.আই (অর্থাৎ, ডি.আই-সেকেন্ডারি)-কে। সেই নির্দেশিকা মেনে, ২১ অক্টোবর শিলিগুড়ির ডি.আই (সেকন্ডারি)-কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন অর্থাৎ রিলিজড অর্ডার (Released Order) নিয়ে নেন। এরপর, দীপাবলি ও ভ্রাতৃদ্বিতীয়া’র ছুটির কারণে, ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডি.আই (প্রাথমিক) হিসেবে যোগদান (জয়েন) করে যান। তবে, নির্দেশিকা মেনে এখনও রিলিজ অর্ডার না নেওয়ার বা দায়িত্ব না ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পূর্বতন ডি.আই (District Inspector- Primary)- তরুণ সরকারের বিরুদ্ধে।
যদিও, এই বিষয়ে তরুণ সরকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কিছুটা বিরক্তির সুরেই বলেন, “যিনি এখানে দায়িত্ব নেবেন, তাঁকে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দিয়ে যেতে হবে, সেগুলোর কিছু পদ্ধতি আছে। এভাবে হঠাৎ করে ছেড়ে চলে যাওয়া যায়না! আমি ওনাকে জানিয়েছি যে ৪ নভেম্বর (4th November, 2022) চার্জ হ্যান্ডওভার করব বা সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব।” অন্যদিকে, শিলিগুড়ির প্রাক্তন DI (প্রাথমিক) প্রাণতোষ মাইতি ইতিমধ্যেই সরকারি নির্দেশিকা পেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরর DI (প্রাথমিক) হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “উনি এখনও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। ৪ নভেম্বর চার্জ হ্যান্ডওভার করবেন বলে জানিয়েছেন।” স্বাভাবিকভাবেই তাই শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের মধ্যে চলছে কানাঘুষো! অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, “তবে কি এই মুহূর্তে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষায় দু’জন ডি. আই?”