thebengalpost.net
পরীক্ষা বাতিল করা হল এক ছাত্রীর (ছবিটি প্রতীকী ও গুগল থেকে সংগৃহীত, ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়):

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ ফেব্রুয়ারি: মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অপরাধে এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক ছাত্রী তথা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষার দিন ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর শহরের নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ পরীক্ষাকেন্দ্রে। জানা যায়, খড়্গপুর গ্রামীণের একটি স্কুলের (ধারেন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের) ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনভিজিলেটর তথা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নজর এড়িয়ে, জ্যামিতি বক্সের মধ্যে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে। পৌঁছে যায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নির্ধারিত রুমে বা কক্ষেও। তবে, পরীক্ষা শুরুর ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই অবশ্য ইনভিজিলেটরের নজরে পড়ে যায় বিষয়টি! তৎক্ষণাৎ তিনি সেন্টার ইনচার্জকে বিষয়টি জানালে, সংসদের আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

thebengalpost.net
খড়্গপুরের নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ:

সোমবার বিকেলে সংসদের জেলা মনিটরিং কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রামজীবন মাণ্ডি জানিয়েছেন, “পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী তাকে বাকি পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। আমরা সেন্টার ইনচার্জের কাছে তথ্য বা রিপোর্ট নিয়ে তা সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।” সন্ধ্যা নাগাদ জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলিও দিতে পারবেনা! ওই পরীক্ষার্থীর এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হবে বলেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) সূত্রে জানা গেছে। এর আগে, মাধ্যমিক সহ উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার দিনও এই অপরাধে একাধিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটল!

thebengalpost.net
পরীক্ষা বাতিল করা হল এক ছাত্রীর (ছবিটি প্রতীকী ও গুগল থেকে সংগৃহীত, ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়):

অন্যদিকে, খড়্গপুর শহরের সিলভার জুবলি হাই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা দেওয়ার পর মৌমিতা দোলই নামে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। খড়্গপুর ২নং ব্লকের জকপুর এলাকার জফলা আদর্শ বিদ্যায়তনের ওই ছাত্রীকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল নাগাদ জানা গেছে, মৌমিতা দোলই নামে ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। এদিকে, কেশপুর ব্লকের শাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী অর্জুনা খাতুন এদিন অসুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। জানা গেছে, ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়। তবে, পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে যায় বা অচৈতন্য হয়ে পড়ে। তাকে সরাসরি কেশপুর হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকরা। সেখানে প্রায় ঘন্টা দুয়েক চিকিৎসার পর, সংসদের আধিকারিকদের তৎপরতায় বেলা ১২টা থেকে ওই ছাত্রী পরীক্ষা দেয় বলে জানা গেছে। কেশপুর হাসপাতালে সংসদের আধিকারিকরা ছাড়াও পৌঁছেছিলেন জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র। এছাড়াও, রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) একটি দুর্ঘটনায় ডান হাতের বুড়ো আঙুল ভেঙে যাওয়ায়, খড়্গপুর মহকুমার ধনেশ্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সৌম্যদীপ সেনাপতি এদিন ‘লেখক’ (Writer)-র সাহায্য নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদের জেলা মনিটরিং কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রামজীবন মান্ডি ও সুদীপ্ত মাইতি।

thebengalpost.net
কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র সহ অন্যান্যরা: