
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ নভেম্বর:’ভ্রাতৃদ্বিতীয়া’র পবিত্র অনুষ্ঠান স্মরণীয় হয়ে থাকল সৌভ্রাতৃত্ববোধের অনন্য মহিমায়! সৌজন্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থানা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী) শিশুদের নিয়ে আয়োজন করা হল গণ ভাইফোঁটার। দাঁতন থানার উদ্যোগে শনিবার এই ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। দাঁতন থানার আইসি প্রেমাশীষ চট্টরাজের আহ্বানে এই ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে মানব কল্যাণ কেন্দ্রের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা। সংস্থার সদস্য ও সদস্যাদের সহায়তায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ওই শিশুরা একে একে ফোঁটা দেন দাঁতন থানার পুলিশ আধিকারিক ও সকল পুলিশকর্মীদের। দাঁতন থানার তরফে ওই শিশুদের মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি তুলে দেওয়া হয় উপহার স্বরূপ শীতবস্ত্র। অনন্য এই আয়োজনে মুগ্ধ মানব কল্যাণ কেন্দ্রের সদস্য সদস্যরা। খুশি ওই শিশুরাও।
এদিকে, ওই সংস্থার তরফে জানা গেছে, এর আগে দুর্গাপূজার সময় নবমীর দিন এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল দাঁতন থানার উদ্যোগে। তাই, ভাইফোঁটা’র পুণ্য লগ্নে পুলিশকর্মীদেরও ভালোবাসার পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করতে, ওই সংস্থার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল দাঁতন থানার আইসি’র সাথে। তিনি সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে, এই গণ ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। উপস্থিত হয়েছিল ১৮ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু-কিশোর এবং সংস্থার সকল সদস্য-সদস্যারা। শিশুদের হাত থেকে পুলিশকর্মীরা ফোঁটা নেওয়ায় আপ্লুত সংস্থা’র সদস্য-সদস্যা থেকে ওই শিশুরাও! ভালোবাসার এই আদান-প্রদানে যিনি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন তিনি অবশ্যই দাঁতন থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক (ইন্সপেক্টর ইনচার্জ) প্রেমাশীষ চট্টরাজ। এদিনের ভাইফোঁটা’র অনুষ্ঠানে দাঁতন আইসি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানার সেকেন্ড অফিসার (মেজবাবু) বিশ্বজিৎ মণ্ডল সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশকর্মীরা। ছিলেন সংস্থার আধিকারিক ও সদস্য-সদস্যরাও। এক সদস্যা জানালেন, “নবমীর দিন আইসি স্যার এই অসহায় শিশুদের একটু আনন্দ দেওয়ার জন্য ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আমরাও সংস্থার তরফে আইসিসির সহ সকল পুলিশকর্মীদের ভালোবাসার পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করে নিতে চেয়েছিলাম। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দাঁতন থানার উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।”