দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ নভেম্বর: দীপাবলি-র ঠিক আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! শুক্রবার রাতে (৯-টা নাগাদ) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণ থানার (Kharagpur Local Police Station) অন্তর্গত মাদপুরে ১৬নং জাতীয় সড়কের উপর একটি যাত্রীবাহী বাসে ভয়াবহ আগুন লাগে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় কলকাতা-বারিপাদা (ওড়িশা) গামী ওই বাসটি! ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে এমনটাই জানা গেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে।

thebengalpost.net
ভয়াবহ আগুন:

শনিবার মেদিনীপুর শহরে পৌরসভার উদ্যোগে ‘মা’ ক্যান্টিন উদ্বোধন উপলক্ষে যোগ দিয়েছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী। সেখানেই তিনি জানান, “ওই বাসে ৩৬ জন যাত্রী ছিলেন। প্রায় সকলকেই নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে জেলা পুলিশ, দমকল সহ প্রশাসন ও স্থানীয়দের উদ্যোগে। একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। যাঁরা সুস্থ আছেন, তাঁদের সকলকেই বাসে করে ওড়িশায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।” জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, ছোটখাটো আঘাত ছাড়া বাসের সকল যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলেই জানা গেছে। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

thebengalpost.net
অগ্নিকাণ্ডের পর নিখোঁজ পুষ্পাঞ্জলি দাস:

এদিকে, এই ঘটনায় এখনও অবধি এক মহিলা নিখোঁজ বলে তাঁর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। তাঁর নাম পুষ্পাঞ্জলি দাস। বাসে তাঁর স্বামী ও সন্তানও ছিলেন। তাঁরা জানালা দিয়ে বের হলেও, ওই মহিলা বের হতে পারেননি বলে বাসের অন্যান্য যাত্রীরা খড়্গপুরে দাবি করেছেন। ফলে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ ওই মহিলারই কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর, প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫-টা নাগাদ কলকাতার বাবুঘাট থেকে ওড়িশার বারিপাদাগামী একটি বাস রওনা দেয়। রাত্রি ৯-টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের মাদপুরে জাতীয় সড়কের উপর ওই বাসে ভয়াবহ আগুন লাগে। ইঞ্জিন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন। চালক ও খালাসি মেন গেট না খুলেই, লাফ দিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ যাত্রীদের। জানালা ভেঙে যাত্রীরা বেরিয়ে আসেন। পৌঁছয় পুলিশ ও দমকলও। যাত্রীদের উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল ও লোকাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই উদ্ধারকাজ পরিচালনা করতে পৌঁছন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। পৌঁছে যান মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়াও। তবে, ঠিক কি কারণে আগুন, তা পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করা হয়নি। যাত্রীদের দাবি, একটি ছোট মিনি গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল ভেতরে। তা বিস্ফোরণ করেই আগুন লাগে! যদিও, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

thebengalpost.net
ঘটনাস্থলে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া :