দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, সায়ক পন্ডা, ১ অক্টোবর: উৎসবের মরশুমের ঠিক প্রাক্কালে করোনা সংক্রমণ আর ভাইরাল জ্বরের মাঝে এবার জেলায় মাথাচাড়া দিল ডেঙ্গু আতঙ্ক! পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার চেঙ্গুটিয়া গ্রামে ১১ জনের ডেঙ্গু রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। তাঁদের মধ্যে, কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। গত ৭ দিনের মধ্যে এই গ্রামের ১১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ আশিস মন্ডল। প্রত্যেকেরই চিকিৎসা চলছে এবং তাঁরা সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন BMOH। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস পাওয়া গেলেও জেলায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মেলায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

thebengalpost.net
গ্রামে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরেই এই এলাকার বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জ্বরে ভুগছিলেন। সেই ভিত্তিতে তাঁদের ELISA পরীক্ষা করলে জানা যায় ১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। একইসাথে এতজন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার এলাকা পরিদর্শন করেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মন্ডল। জল নিকাশির জমা জল থেকে মশার লার্ভা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা তাও দেখেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। সমগ্র গ্রামে মশা মারার জন্য ব্লিচিং-এর পাশাপাশি ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। পাশাপাশি, মেডিকেল টিম গ্রামে পৌঁছে প্রতিটি বাড়িতে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। আশা কর্মীদের সাথে মেডিকেল টিমও নজর রাখছে পরিস্থিতির ওপর। কোনো বাসিন্দার জ্বর বা যে কোনো রকম উপসর্গ থাকলেই তৎক্ষণাৎ তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য যে, জেলায় এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত ৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেন। তার মধ্যে, গত ৭-৮ দিনের মধ্যেই প্রায় ২০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে! জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র জানিয়েছেন, “শুধু বেলদা নয়, বন্যা কবলিত সবং, পিংলা, ঘাটাল সহ জেলার প্রতিটি জায়গাতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। মশার লার্ভা নষ্ট সহ জীবানু নাশ করতে প্রতিটি এলাকায় যথাসাধ্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বেলদার বিনয়টি নিয়েও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করছি।”

thebengalpost.net
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন স্বাস্থ্যকর্মীরা :