তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ এপ্রিল: চলতি সপ্তাহের সোমবার (১৭ এপ্রিল)-ই বেঙ্গল পোস্ট ডিজিটালে তুলে ধরা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালের করুণ দশা! ৪০ ডিগ্রি গরমেও হাসপাতালে নেই কোন সিলিং ফ্যান বা কোনো ধরনের ইলেকট্রিক পাখা। বাধ্য হয়েই তাই, হাসপাতাল চত্বরে কেউ বা কারা (হতে পারে, রোগীর পরিজনেরাও) ক্ষুব্ধ হয়ে পোস্টার চিটিয়ে দিয়েছিলেন, “এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করিলে, সঙ্গে করে হাত পাখা আনিবেন।” ‘লজ্জার’ সেই খবরই তুলে ধরেছিল বেঙ্গল পোস্ট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। বিষয়টির দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছিলেন চন্দ্রকোনা ১নং ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান হল! প্রচণ্ড দাবদাহে তীব্র অস্বস্তি থেকে নিষ্কৃতি মিললো রোগীদের। বিডিও সহ জেলা ও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে বুধবার ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে লাগানো হল ১২-টি ফ্যান (ওয়াল ফ্যান)।

thebengalpost.net
হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন BDO, BMOH:

জানা যায়, সোমবারের খবরের পরই নড়ে চড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর। সমস্যা সমাধানে তৎপর হন বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারীও। তড়িঘড়ি বৈঠক হয় রোগী কল্যাণ সমিতির। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় আপাতত ১২টি পাখা লাগানোর বিষয়ে। বুধবার সেই কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন BMOH নিরঞ্জন কুঁতি। বিডিও স্বয়ং হাসপাতালের অবস্থা খতিয়ে দেখেন। তিনি জানান, “এই হাসপাতালে ফ্যান কম ছিল। তাই, এই গরমে রোগীদের অসুবিধার কথা ভেবে আরও বেশ কিছু ফ্যান লাগানো হয়েছে।” উল্লেখ্য যে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ছিল মরশুমের সর্বাধিক তাপমাত্রা। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া বিভাগের তরফে জানানো হয়, বুধবার জেলা শহর মেদিনীপুর সহ সংলগ্ন এলাকায় সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৪২.৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শুধু চলতি মরশুম নয়, গত কয়েক দশকের মধ্যেও রেকর্ড তাপমাত্রা বলে জানা গেছে। আর, এই গরমে যদি সরকারি হাসপাতালে ন্যূনতম ফ্যান বা পাখা টুকু না থাকে, তাহলে তা যে সত্যিই দুর্ভাগ্যের তা বলার অপেক্ষা রাখে না! অবশেষে তাই, নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং ব্লক প্রশাসন। আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা।