দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ জুলাই: বিদ্যালয়ের প্রার্থনাসভা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী। শুরু হয় খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্ট। এরপর, ওই ছাত্রীর শুশ্রূষা করতে করতেই পর পর অসুস্থ হয়ে পড়ে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর প্রায় ২৩-২৪ জন ছাত্রী। সকলেরই প্রায় একই উপসর্গ! বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর ২নং ব্লকের মাদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। অসুস্থ ছাত্রীদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে ৩-৪ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও, বিকেল ৫-টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানান, সকলেই সুস্থ হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি এও জানান, “অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীটি মৃগী (Epilepsy) রোগে আক্রান্ত বলে জেনেছি। হঠাৎ করেই আজ ওর খিঁচুনি শুরু হয়। এরপরই, ভয়ে বা আতঙ্কে বাকি ছাত্রীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে।”
জানা যায়, একজন ছাত্রীকে অসুস্থ হতে দেখেই এদিন পর পর একাধিক ছাত্রী অসুস্থ হতে শুরু করে। অসুস্থ ছাত্রীদের সকলেরই প্রায় একই শ্বাসকষ্ট, সঙ্গে খিঁচুনির মতো উপলব্ধি! কারুর কারুর মাথা ধরা এবং বমি ভাব। এরপরই, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে একজন গ্রামীণ চিকিৎসককে নিয়ে আসা হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখেন প্রত্যেকের শরীরেই অক্সিজেনের পরিমাণ সহ বাকি সবকিছুই স্বাভাবিক!ততক্ষণে অবশ্য আরও কয়েকজন ছাত্রী একই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অসুস্থ ছাত্রীদের গাড়িতে করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অক্সিজেন ও স্যালাইন দেওয়া হয়। ৩-৪ জনকে অবশ্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, বিকেলের মধ্যেই সকলেই সুস্থ হয়ে ওঠে। যদিও, ঘটনা ঘিরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই এলাকায় দ্রুত উত্তেজেনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা দাবি করেন, বিদ্যালয়ের পানীয় জল খেয়েই অসুস্থ হয় ছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সহ কারুর যুক্তিই মানতে চাননি তাঁরা। পরে বিকেল নাগাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, “ভয় বা আতঙ্ক (panic) থেকেই ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আছে। সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।”