দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মে: সরকারিভাবে জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিললো। আর তারপরই বৈঠকে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে আইআইটি খড়্গপুরে। স্বাস্থ্য দপ্তর ও আইআইটি খড়্গপুর সূত্রে জানা গেছে, ২৬ বছর বয়সী আইআইটি খড়্গপুরের এক গবেষক-পড়ুয়ার কোভিডের উপসর্গ থাকায়, মঙ্গলবার (২৭ মে) তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার (২৮ মে) RAT বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। তাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বুধবারই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের বি.সি রায় হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে ঠিক এমনটাই জানা গেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের একটি সূত্রেও। সেই সূত্রে এও আশ্বস্ত করা হয়েছে, ওই পড়ুয়া যেহেতু হস্টেলের একটি রুমে একাই থাকতেন, তাই বাকিদের তেমন ভয় নেই। তা সত্ত্বেও ওই পড়ুয়ার সংস্পর্শে আসা কারুর যদি উপসর্গ দেখা দেয়, তাঁরও টেস্ট করা হবে বলে।

প্রসঙ্গত, কোভিডের সেই প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে (২০২০ ও ২০২১) বিপুল পরিমাণ কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল খড়্গপুর আইআইটি এবং রেল এলাকায়। বিভিন্ন এলাকার পড়ুয়া বা লোকজনদের সমাবেশস্থল হওয়ার কারণেই, এই ঘটনা বলে মনে করে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এবারও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই পড়ুয়া তাঁর গবেষণাকর্মের সূত্রে সম্প্রতি (মে মাসের প্রথম সপ্তাহে) বীরভূম জেলায় গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পরই জ্বর, সর্দিকাশি সহ ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার উপসর্গ অনুভব করেন। তবে, ওই পড়ুয়া কোভিডের দু’টি ভ্যাকসিনই নিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আপাতত ওই পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে, তাঁকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, “আমরা আইআইটি খড়্গপুরের এক গবেষকের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। উপসর্গ সেই আগের মতোই। স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া, জ্বর-সর্দিকাশি প্রভৃতি। মৃদু উপসর্গ থাকলে এভং ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ভয়ের কিছু নেই। তবে, জেলাশাসকের নির্দেশে আমরা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলব, মাস্ক পরিধান, দূরত্ব বজায় রাখা সহ প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা শুরু করুন।” মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার অধ্যাপক ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “কোভিড টেস্ট বা ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার নির্দেশ এখনো পাইনি। তবে, আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।”