দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, সুদীপ্তা ঘোষ, ১৩ আগস্ট: গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরীমণি (Pori Moni)-কে বার বার একটা কথাই বলতে শোনা যাচ্ছিল যে, “তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে”! কিন্তু, তাঁর কোনো কথাতেই কর্ণপাত করেনি আদালত। শুক্রবার ফের আরেকবার পরীমণি-কে আদালতে পেশ করা হলে, জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। ইতিমধ্যে, তাঁর দুই দফায় মোট ছয় দিনের পুলিশ রিমান্ড (পুলিশ হেফাজত) শেষ হয়ে গিয়েছে, গতকাল ১২ আগস্ট। সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়, তদন্ত না শেষ হওয়া পর্যন্ত পরীমণিকে যেনো জেলেই রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার হওয়া অভিনেত্রী শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির জামিন আবেদন খারিজ করে তাঁকে কারাগার পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাঁকে কারাগার পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। মাদক মামলায় অভিযুক্ত অভিনেত্রীকে তদন্তের জন্য আরও পাঁচদিন জেল হেফাজতে রাখার অনুমতি চান বাংলাদেশের সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। আগামী ২ দিন পর ফের অভিনেত্রীকে আদালতে পেশ করা হতে পারে। পরীমণি ছাড়াও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু, তাঁর সিনেমার এক প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং ম্যানেজার সবুজ আলিরও জামিনের আবেদন খারিজ করেন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমানচন্দ্র মন্ডল। মাদক মামলায় জেল হেফাজত মঞ্জুর হলেও পর্নোগ্রাফির ওপর চলতে থাকা অন্য একটি মামলায়, সিআইডি হেফাজতের রায় দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনির বাড়িতে অভিযান চালায় বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। শেষপর্যন্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী অভিনেত্রীর ঢাকার বনানীর বাড়ি থেকে বিদেশি মদ, মাদক এবং মাদক গ্রহণ করার জন্য ব্লটিং পেপার উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগ পরীমনিকে গ্রেফতার করেন। শুরু হয় একের পর এক বিতর্ক। উল্লেখ্য রিমান্ডে থাকা কালিন পরীমনির পাশে এসে দাঁড়ান বাংলাদেশের আরেক বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। নিজের ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তসলিমা আশঙ্কা করে লেখেন, “রিমান্ডের নাম করে পরীমনিকে মানসিক নির্যাতনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে না তো! তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে না তো! এরপর পরীমনি যদি আত্মহত্যা করে, তখন নারীবিদ্বেষী এই কুৎসিত সমাজকে কি ভবিষ্যৎ ক্ষমা করবে!” তবে, এসবে যে আদালত কর্ণপাত করেনি, তা বলাই বাহুল্য।