দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ আগস্ট: নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করা এবং খুন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী-কে ৫ বছর পর সাজা শোনালো মেদিনীপুর জেলা আদালত। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানা এলাকার। ২০১৬ সালের মামলা। ওই মামলায় অভিযুক্ত আসামী আশরফ চৌধুরী-কে সাড়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার এই সাজা ঘোষণা জেলা আদালতের বিচারপতি তানিয়া ঘোষ। এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্বর্ণেন্দু প্যারিয়াল। ৫ বছর পরে হলেও, নির্যাতিতার পরিবার সঠিক বিচার পেয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার অন্তর্গত কুঞ্জ বনকাটি গ্রামের এক নাবালিকা গত ২০১৬ সালের ২ রা জানুয়ারি (সেই সময় বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর), গ্রামের পাশের একটি পুকুরে অন্যান্য সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়েছিল। স্নান করার সময় ওই গ্রামেরই আশরফ চৌধুরী নামে এক যুবক ওই নাবালিকা মেয়েটিকে জলের মধ্যেই জড়িয়ে ধরে এবং শ্লীলতাহানি করে। অভিযোগ অনুযায়ী, ‘ধর্ষণ’ করার চেষ্টা করা হয়! সেই সময় মেয়েটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। তার ‘চিৎকার’ বন্ধ করার জন্য, আশরফ নামে ওই যুবক জলের মধ্যে তাকে ডুবিয়ে রেখে প্রাণে মারার চেষ্টা করে! পুকুরে থাকা অন্যান্য সঙ্গী-সাথীরা দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে, আশরফ পালিয়ে যায়। এরপর, তারা ওই নাবালিকার বাড়িতে খবর দিলে, বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে যায় এবং পরে গোয়ালতোড় থানায় অভিযোগ দায়ের করে আশরফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গোয়ালতোড় থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর, ওই যুবককে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয় (কেস নম্বর POCSO NO 2/2016) এবং গত ৫ বছর ধরে মামলা চলে। অবশেষে, দীর্ঘ ৫ বছর ৭ মাস মামলা চলার পর বুধবার (২৫ আগস্ট) মেদিনীপুর অতিরিক্ত (দ্বিতীয়) জেলা জজ তানিয়া ঘোষ অভিযুক্তকে সাড়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে সাজা ঘোষণা করেছেন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন (অনাদায়ে আরও দু’মাস জেল)।