দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ জুলাই: “পূজা নাইডুর স্বামীকে খুন করার অপরাধেই রামবাবুরা জেলে গিয়েছিল। এখন সেই পূজা নাইডু তো সরকারের কাউন্সিলর। তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর। তারপরও রামবাবুরা কিভাবে জেল থেকে ছাড়া পেল, পূজা নাইডু প্রশ্ন করুক তাঁর সরকারের লোককে। আমি একটা ইন্টারভিউতে দেখলাম পূজা নাইডু কান্নাকাটি করছেন। বলছেন, আমাকে সরকার ধোঁকা দিল। এখন সরকারের লোককেই যদি সরকার ধোঁকা দেয়, তাহলে ভাবুন কি হতে চলেছে!” শনিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের সাতপাটিতে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে গিয়ে ঠিক এভাবেই তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেছেন খড়্গপুর সদরের বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ।

thebengalpost.net
সাতপাটিতে ভোট প্রচারে হিরণ:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘রেল মাফিয়া’ তথা তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী শ্রীনু নাইডু খুনের প্রধান আসামী ‘গ্যাংস্টার’ বাসব রামবাবু সহ ১৩ জনকে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার (২৭ জুন) বেকসুর খালাস করেছে মেদিনীপুর আদালত। আর, তারপরই শ্রীনুর স্ত্রী তথা খড়্গপুর পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর (১৮ নং ওয়ার্ড) পূজা নাইডু ক্ষোভে-হতাশায় ফেটে পড়েছেন। তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ‘সুবিচার’ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান পূজা। আর, সে প্রসঙ্গেই মন্তব্য করতে গিয়ে খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় এদিন তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, “এটা পুরোপুরি আইন-আদালত বা বিচার ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়। এর সঙ্গে, দলের কোথাও কোনো সম্পর্ক নেই। আর, যে সরকারের কথা বলছেন হিরণ, সেখানেই তো উনি ঢোকার জন্য লাইন দিয়ে বসেছিলেন! সেই ছবি তো সমাজ মাধ্যমে গোটা বাংলা দেখেছে।”