দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ জানুয়ারি: অবৈধ বা বেআইনি টোটোর দাপটে জেলা শহর মেদিনীপুরে কার্যত পথ চলাই দায় হয়ে উঠেছে! তীব্র যানজটে জনজীবন বিপর্যস্ত। কার্যত অসহায় দর্শকের মতোই একাধিকবার তা স্বীকার করে নিয়েছেন মেদিনীপুরের পৌরপ্রধান, বিধায়ক থেকে জেলা পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা। অবশেষে এর শেষ দেখে ছাড়তে উদ্যোগী হয়েছে পরিবহন দপ্তর তথা জেলা প্রশাসন। একদিকে যেমন পৌরসভার ২৫ জন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে মেদিনীপুর শহরে চলা মোট টোটো বা ই-রিক্সার সংখ্যা গণনার কাজ শুরু হয়েছে; ঠিক তেমনই বেআইনিভাবে টোটো বা ই-রিক্সা বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে জেলা পরিবহন দপ্তর। রবিবার বিকেল ৩টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের RTO সন্দীপ সাহা-র নেতৃত্বে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পানাছত্র এলাকায় শ্রী কৃষ্ণ মোটরস নামক একটি টোটো বা ই-রিক্সা বিক্রির দোকানে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ২১টি ই-রিক্সা (টোটো) ও ২৩টি ই-স্কুটার (ব্যাটারিচালিত স্কুটি) বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সঙ্গে অনুমোদন ছাড়াই টোটো, স্কুটি বিক্রির অভিযোগে দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়।

thebengalpost.net
সিল করা হল দোকান:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

আরটিও সন্দীপ সাহা বলেন, “অবৈধ টোটোর দাপটে মেদিনীপুর শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত। পথ চলাই দায় হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বুলেন্স থেকে জরুরি পরিষেবার গাড়ি যানজটে আটকে পড়ছে। তাই রাজ্য সরকারের নির্দেশে আমরা আজকে অভিযান চালিয়েছি।” তিনি এও জানান, “এই দোকানে প্রচুর গাড়ি অবৈধভাবে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু, কোনো স্টক ও সেল রেজিস্টার কিছুই নেই। শুধু একটা ট্রেড লাইসেন্স আছে। আমরা আজকে ২১টি ই-রিক্সা ও ২৩টি ই-স্কুটার সিজ করেছি। দোকান সিল করে দিলাম। দোকান মালিককে যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে আমরা জরিমানা ধার্য করব।” দোকানের মালিক অশোক দে জানান, তাঁদের বিক্রি করা ৩৫০-৪০০টি টোটোর মধ্যে ২০-২৫টি টোটোর রেজিস্ট্রেশন হয়নি। রেজিস্ট্রেশন না থাকায় আরটিও তাদের দোকান সিল করে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বহু দোকান অবৈধভাবে টোটো বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।