দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ মে: বুধবার (২২ মে) ভোররাতে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক তথা ঘাটাল লোকসভার BJP প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণের আপ্ত সহায়ক তমোঘ্ন দে-র বাড়িতে পুলিশের হানা! পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘রেলশহর’ খড়্গপুরের তালবাগিচার বাড়িতে হানা দেয় ঘাটাল থানার পুলিশ। খবর পেয়ে বুধবার ভোররাতেই (ভোর ৩টা নাগাদ) দাসপুর থেকে খড়গপুরে পৌঁছন হিরণ। সকাল পর্যন্ত ঘাটাল থানার আইসি শঙ্খ চ্যাটার্জি’র সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি-বচসা চলে। যদিও, হিরণ পৌঁছনোর আগেই তাঁর আপ্ত সহায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে, পুলিশ সন্দেহজনক কিছু পায়নি বলেই জানা গেছে। বাড়িতে ছিলেন না তমোঘ্ন-ও। তাঁর অসুস্থ মা একাই ছিলেন। বুধবার সকালে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, “আমি অসুস্থ মানুষ। আমার কোনও কথাই শুনলোনা পুলিশ। বললাম ও নেই। তবুও, ছাদে উঠে চারিপাশ লন্ডভন্ড করে। আমার ছেলে খুব ভালো। পড়াশোনা করেছে। ওর বাবা মারা যাওয়ার পর সংসার চালানোর জন্য এই কাজে ঢুকেছে। জানিনা, পুলিশ কেন এরকম করল! আমি হার্টের রুগী। খুব আতঙ্কে আছি।”

thebengalpost.net
আপ্ত সহায়কের মা:

thebengalpost.net
BJP কর্মীদের বিক্ষোভ:

অন্যদিকে, মঙ্গলবার গভীর রাতেই (বা, বুধবার ভোররাতে) খড়্গপুর শহর বিজেপি-র মধ্য মন্ডল বা ২নং মণ্ডলের সভাপতি তারকেশ্বর রাও ওরফে শ্রী রাওয়ের বাড়িতেও হানা দেয় খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। রাত্রি সাড়ে ১২টা নাগাদ খড়্গপুর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের মাঠপাড়া এলাকায় অবস্থিত শ্রী রাওয়ের বাড়িতে হানা দেয় খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে বুধবার সকালে অভিযোগ করেন শ্রী রাওয়ের দিদি এস. মঞ্জু। তিনি বলেন, “আমার ভাই, মা আর আমি থাকি। এত রাতে পুলিশ আসায় আমরা বলি সকালে আসতে। কিন্তু পুলিশ কোনও কথা না শুনে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে ভাইকে নিয়ে যায়। আমরা দু’জন অসুস্থ মহিলা বাড়িতে! এটাই কি তাহলে দিদির পুলিশের নিরাপত্তা? এটা ঠিক করলো তো পুলিশ?” যদিও পুলিশ জানিয়েছে, দরজা ভাঙা হয়নি। ওঁর বিরুদ্ধে নিজের দলের কর্মীকেই মারধরের অভিযোগ ছিল, তাই গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পরই বিজেপি-র বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে খড়্গপুর টাউন থানা চত্বর।

thebengalpost.net
শ্রী রাও (ফাইল ছবি):