দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুলাই: উচ্চ প্রাথমিকের “ইন্টারভিউ লিস্ট” মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের অর্ডার বা নির্দেশ’কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেন পিটিশনররা। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৯ জুলাই) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইন্টারভিউ লিস্টে সন্তোষ প্রকাশ করে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছিলেন এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসাথে, যে সমস্ত পরীক্ষার্থী বা পিটিশনাররা নানা অভিযোগ ও বঞ্চনার কথা তুলেছিলেন, তাঁদেরকে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনে অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন’কে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিযোগ পাওয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু, এই নির্দেশ মেনে নিতে পারেননি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। তাই, এই বিষয়ক আরও কিছু মামলা আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে তোলা হয়। সেই মামলাতেও একই নির্দেশ দেন বিচারপতি। তারপরই ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পিটিশনররা।
উল্লেখ্য যে, ইন্টারভিউ লিস্টের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, কম নম্বর পাওয়াদের টেট ও অ্যাকাডেমিকের নম্বর বাড়িয়ে লিস্টে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং যোগ্যদের “রিজেক্ট লিস্ট” বা “নট কোয়ালিফাইড লিস্ট” এ ফেলে দেওয়া হয়েছে নানা অজুহাতে। এমন চাকরিপ্রার্থীও আছেন যাদের কোনো লিস্টেই রাখা হয়নি। এ প্রসঙ্গে আদালতে আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ১২ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে যাবে, তখন আর এস এস সি ‘ র অজুহাত শুনে কি হবে! তাছাড়া, যোগ্যদের যারা নানা অজুহাতে রিজেক্ট করতে পারে, অযোগ্যদের সুযোগ দিতে, তারা পরবর্তী সময়ে তাদের প্রতি কি ন্যায়বিচার করবে! তাই আবেদনকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, সুদীপ্ত দাশগুপ্তরা জানিয়েছেন, “যে কারণে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য লিস্ট বাতিল করে দিয়েছিলেন। সেই একই অভিযোগ বা তার থেকেও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ আছে লিস্টের বিরুদ্ধে। তাই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বুধবার বা বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে।” জানা গেছে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও সৌগত ভট্টাচার্যের ১১ নম্বর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।