দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১ এপ্রিল:ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে এসএসসি কর্তা (প্রাক্তন উপদেষ্টা) শান্তি প্রসাদ সিনহা (S. P. Sinha)। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁকে জেরা করতে পারবে না সিবিআই। তবে, বাকি চার এসএসসি কর্তাকে জেরা করতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে বাকি চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR)-ও করতে পারবে সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) শিক্ষাসংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, শান্তিপ্রসাদকে সোমবার পর্যন্ত আর জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সিবিআই (CBI)। তাঁকে আর সিবিআইয়ের কাছে যেতেও হবে না।

thebengalpost.net
শান্তি প্রসাদ সিনহা :

উল্লেখ্য, গ্রুপ ডি মামলায় এসএসসি (School Service Commission)-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। ওই দিন রাত ১২টার মধ্যে তাঁকে ডেকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পর আদালতের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু, সন্ধ্যায় তিনি যাননি। পরিবর্তে রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে যান শান্তিপ্রসাদ। তার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। শুক্রবার শান্তিপ্রসাদ সিনহা সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানি চেয়ে মামলা করেন। মামলার শুনানিতে সিবিআইকে মামলায় যোগ করার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, নানা স্কুলে কর্মরত গ্রুপ ডি-র সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ যাতে নিশ্চিত করা হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তা ছাড়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক, ওএসডি-সহ কমিশন গঠিত তৎকালীন সব সদস্যকে এই মামলায় যোগ করার কথা জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের উদ্দেশ্য এও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, সিবিআই ডাকলেই দ্রুত যেতে হবে। কোনও বিলম্ব করা যাবে না! এখন শান্তিপ্রসাদ ছাড়া কমিটিতে থাকা বাকিদের বিরুদ্ধে FIR ও করতে পারবে‌ সিবিআই। এই প্রথম ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে কিছুটা হলেও খুশি হবেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ, তাঁর রায়ের উপরই মোটামুটি আস্থা রেখেছে সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। এও উল্লেখ্য যে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পরিবর্তে, সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে শিক্ষাসংক্রান্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আজ থেকেই।