দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর: প্রাথমিকে ১৬,৫০০ নিয়োগে পড়ে থাকা ৩,৯২৯-টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে টেট পাস, প্রশিক্ষিত ও ইন্টারভিউ দেওয়া নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদেরই। যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে অবিলম্বে এই নিয়োগ করতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায় বহাল রেখে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৪ সালের পড়ে থাকা শূন্যপদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদেরই অধিকার। অন্যদের অর্থাৎ ২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের সেখানে চাকরি পাওয়ার অধিকার নেই! শুক্রবার এমনই রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর আগেই ২০১৪ টেট পাস নট ইনক্লুডেড মামলাকারীদের (পিটিশনারদের) দাবিকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত পিটিশনারদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৩৯২৯-টি শূন্যপদে। এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ৩৯২৯-টি শূন্যপদ পরবর্তী নিয়োগে অর্থাৎ ২০২২-এর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ক্যারি ফরওয়ার্ড করার ধৃষ্টতা দেখায় পর্ষদ। ২০১৪ টেট পাস প্রায় ১০ হাজারের বেশি নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করে গৌতম পালের নেতৃত্বাধীন প্রাইমারি বোর্ড। এমনটাই অভিযোগ করেন ২০১৪ টেট পাস নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদ যুক্তি দেয় কাট অফের মধ্যে আসতে পারেননি বাকিরা! এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে বলে, ওই শূন্যপদে অধিকার ২০১৪ টেট পাসদেরই। মেধার ভিত্তিতে অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে এই শূন্যপদে। একইসঙ্গে, পর্ষদ নতুন করে যে ১১,৭৬৫ টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, সেখান থেকে এই ৩৯২৯টি শূন্যপদ বাদ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সবমিলিয়ে, নট ইনক্লুডেড সবার (প্রায় ১০ হাজার) চাকরি না হলেও, তাঁদের মধ্য থেকে এই মুহূর্তে প্রায় ৪ হাজার জন নিয়োগপত্র পেতে চলেছেন বলেই মনে করছেন তাঁদের আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট মহল।