দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ মে: প্রকাশিত হল মাধ্যমিক-২০২৫’র ফলাফল। প্রায় ৭০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে রেগুলার পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার প্রায় ৮৬.৫৭ শতাংশ। যা গতবছরের তুলনায় সামান্য বেশি। বরাবরের মতোই পাশের হারে সবার উপরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা (৯৬.৪৬ শতাংশ)। এরপর আছে যথাক্রমে- কালিম্পং, কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর। মাধ্যমিকে এবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ছাত্র আদৃত সরকার। ৭০০-র মধ্যে ৬৯৬ নম্বর পেয়েছে আদৃত।

মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দুই মেদিনীপুরের অনেকেই জায়াগা করে নিয়েছে। তালিকায় আছে পশ্চিম মেদিনীপুরের তিন জন ছাত্রছাত্রী। অষ্টম স্থানে আছে দু’জন। বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী উদিতা রায় এবং ঘাটালের মনসুখা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের ছাত্র অরিত্র সাঁতরা। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। নবম স্থানে আছে বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমির ছাত্র অঙ্কুশ জানা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। মাধ্যমিকে অষ্টম স্থান দখল করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী উদিতা রায়। বেলদার নবোদয়পল্লীর বাসিন্দা উদিতা’র নামটা টিভি-তে ঘোষণা হওয়ার পরই চোখে জল বাবা ও মেয়ে দু’জনেরই! বাবা বিশ্বজিৎ রায় খালিনা হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী মা অনুরূপা রায় নিজের কাজে বেরিয়ে গিয়েছেন সাত সকালেই। উদিতাকে মিষ্টি মুখ করিয়েছেন ঠাকুমা। খুশি উদিতার দাদুও। দিদির ভালো রেজাল্টে উচ্ছ্বসিত উদিতার বোন উর্জাও।
উদিতা ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ও মনোযোগী। তবে, বাঁধাধরা নিয়ম মেনে কখনো সে পড়াশোনা করেনি বলে জানিয়েছে। পড়াশোনার বাইরে গল্পের বই পড়ে সময় কাটায় উদিতা। উদিতা বলে, “উপন্যাস পড়তে খুব ভালো লাগে।” উদিতা আইআইটি-তে পড়ে গবেষণা করতে চায়। আর তার শিক্ষক বাবা বলেন, “সবার আগে এটাই চাইব, ভালো মানুষ হোক।” মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নবম স্থান অধিকার করেছে বেলদারই বাসিন্দা তথা বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমির ছাত্র অঙ্কুশ জানা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অঙ্কুশ বলে, “কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। আইআইটিতে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।” অপরদিকে, ঘাটালের মনসুখা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের ছাত্র, অষ্টম স্থানাধিকারী অরিত্র বড় হয়ে গবেষণা করতে চায়। অরিত্র বলে, “আমার এই সাফল্যে বাবা-মা ছাড়াও স্কুল ও গৃহশিক্ষক সকলেরই সমান অবদান রয়েছে।”