দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ২৩ নভেম্বর: আগামীকাল (২৪ নভেম্বর) কিষেণ জি (কোটেশ্বর রাও)’র দশম মৃত্যুবার্ষিকী। একসময়ের জঙ্গলমহলের ত্রাস প্রাক্তন এই মাও নেতা’র মৃত্যুবার্ষিকীর আগে তাই ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহল জুড়ে থমথমে পরিবেশ! গত সোমবার (২১ নভেম্বর) যেভাবে, মাও বনধ সফল হয়েছে, তা গত দশ বছরে হয়নি বলেই গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট। শুধু রাজ্য বা দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে নয়, সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টেও জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের মাথাচাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি, মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পাওয়া লাগাতার পোস্টার উদ্ধারেও সেই প্রমাণ মিলেছে বলে মত বিভিন্ন মহলের।

প্রসঙ্গত, গত ১০ বছরে জঙ্গলমহলে একাধিকবার বনধ ডেকেছে মাওবাদীরা। তবে, সেভাবে বনধের প্রভাব পড়েনি। কারণ, সাধারণ মানুষের সমর্থন হারিয়েছিল মাওবাদীরা। কিন্তু, এই প্রথম বনধে কিছুটা হলেও শুনশান হল জঙ্গলমহল! এখানেই কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনেরও। তাহলে কি মানুষের সমর্থন ফিরে পাচ্ছে মাওবাদীরা? সম্প্রতি, বিভিন্ন এলাকায় পোষ্টার, ল্যান্ডমাইন উদ্ধার হওয়াও এর একটা ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু, রাজ্য সরকারের এত ‘উন্নয়ন’, ‘প্রকল্প’ বা ‘পুনর্বাসন’ এর পরও কিভাবে বিভিন্ন এলাকায় বনধ সফল হল? সেখানকার বাসিন্দাদের কথাতে, ফের মাওবাদী সংগঠন গড়ে ওঠার ইঙ্গিত মিলেছে! উন্নয়নের জন্য আসা টাকাই জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদীদের নতুন করে সমর্থন জুগিয়েছে। অভিযোগ, উন্নয়নের টাকার বেশির ভাগটাই নাকি নেতাদের পকেটে গিয়েছে! এই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই গ্রামের মানুষদের থেকে সমর্থন জোগাড় করেছে মাওবাদীরা। তাই, আগামীকাল, বুধবার, কিষেন জি’র মৃত্যুবার্ষিকীর আগে কিছুটা ‘তটস্থ’ জঙ্গলমহল। সতর্ক পুলিশ মহলও। চলছে নাকা চেকিং, আছে সতর্ক দৃষ্টি!











