দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ সেপ্টেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায়, পৌরসভার কলে পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল শুরু হয় দুই পরিবারের মধ্যে। সেখান থেকেই বচসা, হাতাহাতি, মারধর! ঘটনায় গুরুতর আহত হয় দেবাশিস শিল নামে বছর ৪৫ এর এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা দেবাশীষ শিলকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, রাতেই মৃত্যু হয় দেবাশিস শিলের। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর শহরের বড়বাজার এলাকায়। গতকাল রাতেই ডিএসপি’র নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায় এলাকায়। এদিকে, মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। পড়শি তৃণমূল পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগানোর অভিযোগ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, এটা পাড়ার বিবাদ। ওই ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলনা! আর, কেউ তাকে খুন করেনি, পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। যদিও, গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই, মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানায়। মৃত ব্যক্তির স্ত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বিজেপি করতেন বলেই পড়শি তৃণমূল পরিবারের তরফে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করা হয়েছে। দুই নাবালিকা ও নাবালক সন্তানকে নিয়ে তিনি অসহায় হয়ে গেলেন বলে শোকে ভেঙে পড়েছেন! এদিকে, অভিযোগ পেয়েই গতকাল রাত থেকে তদন্তে নেমেছে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তিনজনকে। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাসের বক্তব্য, “নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই অত্যাচার-ষড়যন্ত্র চলছে বিজেপি পরিবারগুলির বিরুদ্ধে। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ!” জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরার দাবি, “বিজেপি আর কত নোংরা রাজনীতি করবে! এটি সম্পূর্ণ পাড়াগত বিবাদ। সেই বিবাদের জেরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে দেবাশিসের। সে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেও আমার জানা নেই! যদিও, আমরা কোনো মৃত্যুকেই সমর্থন করি না। তবে, অহেতুক বিজেপি গোটা বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগাচ্ছে।”