দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ নভেম্বর: সোমবার ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করার পর, মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করে চিকিৎসকের নিরাপত্তা এবং রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের কাজকর্ম খতিয়ে দেখলেন স্টেট লেভেল অডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। এদিন তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমও। ফলে হাসপাতালের সার্বিক পরিষেবা ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ই খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন তাঁরা। এদিন বিকেলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করার আগে, দুপুর নাগাদ জেলাশাসকের কার্যালয়ের ওল্ড কনফারেন্স রুমে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ এবং মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সিকিউরিটি অডিট বা নিরাপত্তা পর্যালোচনা সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কমিটির চেয়ারম্যান সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম প্রমুখের নেতৃত্বে। বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী, সুপার জয়ন্ত রাউত প্রমুখ ছাড়াও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিক দাস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা এবং রোগীদের পরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক দাবি তাঁরা এই বৈঠকে রেখেছেন। সেই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং নিরাপত্তা অডিট কমিটির তরফে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। তবে, তিলোত্তমা কাণ্ডের পর ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে তৈরি হওয়া রেস্ট রুম, ওয়াশ রুম প্রভৃতি এখনও ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়নি বা চালু করা হয়নি বলে অভিযোগ অনিকের। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, “নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজ হয়েছে, আরও কিছু পজিটিভ সাজেশন এসেছে। সেগুলিও বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।” মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ক্যাথ ল্যাবের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব। তিনি বলেন, “গত প্রায় ১ বছরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ক্যাথ ল্যাবে ১৯০০-র বেশি অস্ত্রপচার হয়েছে। খুবই ভালো কাজ হচ্ছে। সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।”