দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ আগস্ট: শনিবার গোটা দেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিল চিকিৎসকদের বৃহত্তম সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। শুধুমাত্র এমার্জেন্সি ছাড়া শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বা মেডিক্যাল সার্ভিস বন্ধ রাখা হবে। ফলে খুলবে না সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর কিংবা চিকিৎসকদের চেম্বারও। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আপৎকালীন বা অত্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সবরকম পরিষেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন চিকিৎসকেরা। বুধবার মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এক বিবৃতিতে চিকিৎসক সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, “সমস্ত এমার্জেন্সি পরিষেবা চালু থাকবে। হতাহতের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ওপিডি-র নিয়মিত কাজকর্ম হবে না এবং ইলেকটিভ সার্জারি (ঐচ্ছিক অস্ত্রোপচার, অর্থাৎ যেগুলি পরে করলেও অসুবিধা নেই) করা হবে না। যেখানে যেখানে আধুনিক মেডিসিনের ডাক্তাররা পরিষেবা দেন, সেই সকল সেক্টরে পরিষেবা প্রত্যাহার করা হবে।”
অন্যদিকে, SUCI-র ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে শুক্রবার সচল আছে মেদিনীপুর-খড়্গপুর সহ প্রায় গোটা রাজ্যই। যদিও, বেসরকারি বাস পরিষেবা অনেকটাই স্তব্ধ হয়েছে। তবে, সমস্ত সরকারি বাস এবং অধিকাংশ বেসরকারি বাস চলাচল করছে। অন্যান্য সমস্ত পরিষেবাও প্রায় স্বাভাবিক আছে। সরকারি নির্দেশিকার জেরে সমস্ত অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজে প্রায় একশো শতাংশ উপস্থিতিই লক্ষ্য করা গেছে। বেশিরভাগ দোকানপাটও খোলা আছে। এর মধ্যেই, জেলা শহরের কালেক্টরেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে SUCI কর্মীদের খন্ডযুদ্ধ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। একটি বেসরকারি বাসের চালকের উপর বনধ সমর্থনকারীদের চড়াও হওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে ধস্তাধস্তি এবং মারধর শুরু হয়ে যায়। মহিলা পুলিশের সঙ্গে SUCI-র মহিলা কর্মীদেরও অশান্তি বাঁধে। শেষ পর্যন্ত বনধ সমর্থনকারী তথা এসইউসিআই-র কর্মীদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।