দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ আগস্ট: আধুনিক যুগের বিজ্ঞান থেকে সনাতন সংস্কৃতি, যোগব্যয়াম-খেলাধুলার গুরুত্ব থেকে পরিবেশ রক্ষার আহ্বান- বৈচিত্র্য আর অভিনবত্ব মিলেমিশে যেন একাকার মেদিনীপুর শহরের স্বনামধন্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের দু’দিনের বার্ষিক প্রদর্শনী বা অ্যানুয়াল এক্সিবিশনে। শুক্রবার পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় রাঙামাটি ক্যাম্পাসে। শনিবার চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় সিপাইবাজার (গির্জা) ক্যাম্পাসে।

এই প্রদর্শনীতে শিক্ষা, বিজ্ঞান, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কিত নানা মডেল বা শিল্পকলা ফুটিয়ে তুলেছে বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের পড়ুয়ারা। তাদের নিজস্ব ভাবনা, কল্পনা ও উদ্ভাবনী দক্ষতার মধ্য দিয়ে সৃষ্টিশীলতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন মেলে ধরেছে ভবিষ্যতের উজ্জ্বল তারকারা। শুধুই বিজ্ঞান, ভূগোল বা গাণিতিক প্রকৌশল নয়; নৃত্য-সঙ্গীত ও ক্রীড়ার মধ্য দিয়ে এক আবেগ-উদ্দীপনাময় পরিবেশের সৃষ্টি হয় এই প্রদর্শনীতে। হাইস্কুল ক্যাম্পাসে একদিকে যখন চলছে শিক্ষা ও বিজ্ঞানের প্রদর্শনী, ঠিক অন্যদিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুই পড়ুয়ার হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সনাতন সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রয়াসও নজর কাড়ে। আবার অন্যদিকে, প্রাইমারি ক্যাম্পাসে দর্শকদের জন্যও ছিল মজার মজার নানা ইন্ডোর গেমস।
দু’দিনের এই প্রদর্শনীতে বডি সিস্টেম, সোলার ট্র্যাকার, অটোমেটিক ক্লথ কালেকশন, হাইড্রোলিক আর্ম, রিস্লাইকিং, ইকোসিস্টেম, ক্লাইমেট চেঞ্জ, রেন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, চন্দ্রাভিযান (চন্দ্রযান-৩) প্রভৃতি বিভিন্ন মডেলের সাথেই সাহিত্য, ইতিহাস, সমাজবিদ্যা, যোগা, কম্পিউটারের নানা মডেল ও চার্টগুলিও নজর কাড়ে। বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষা চান্দা মজুমদার বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিক তত্ত্বাবধান এবং শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ততা দু’দিনের এই প্রদর্শনীকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলেছে। আমাদের পড়ুয়ারা যেভাবে তাঁদের উদ্ভাবনী দক্ষতা ও সৃজনশীলতা মেলে ধরেছে, তা সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে।”