দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ২৫ জুলাই: ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ কান্ডে মূল অভিযুক্ত মাওবাদী নেত্রী চন্দনা সিং ওরফে শোভা মুন্ডা দীর্ঘ ১৫ বছর পর জেলমুক্ত হলেন! এই সুদীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলার পর গত ১ জুলাই ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তাঁকে বেকসুর খালাস করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে দাদা-বৌদির হাত ধরে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির মাজুগোড়া গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শোভা। যদিও, ঝাড়গ্রাম আদালতে এখনও তাঁর নামে মোট ৮টি মামলা বিচারাধীন। তবে, এই মুহূর্তে সবকটিতেই তিনি জামিন পেয়েছেন বলে এপিডিআর সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বাম আমলে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য শোভার বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি সহ ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। তাঁর বিরুদ্ধে শুধু বেলপাহাড়ি থানাতেই ৬টি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছিল। যদিও, শোভার আইনজীবী কৌশিক সিনহা বলেন, “শোভা মুন্ডার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি ছিল, সেগুলো মিথ্যে। তাই একের পর এক মামলায় বেকসুর খালাস হচ্ছেন তিনি।” জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির মাজুগোড়া গ্রামের বাসিন্দা শোভা (আসল নাম চন্দনা সিং) ছোট থেকেই ডানপিটে স্বভাবের ছিলেন। মাওবাদীদের ‘সমাজ বদলানোর’ ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি বাড়ি ছাড়েন। পরে মাওবাদীদের হিংসাত্মক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। সেই সময় তাঁর নাম দেওয়া হয় শোভা। এরপর আর বাড়ির সদস্যদের কাছে তিনি ফিরে আসেন নি। ২০০৪ – ২০০৫ সাল থেকে মাওবাদী নেত্রী হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেই সময় জঙ্গলমহলে একাধিক ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার কথা সামনে আসে। এরপর তাঁর খোঁজে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। অবশেষে, ২০০৯ সালে ঘাটশিলায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ কাণ্ডে ২০১০ সালে চাকুলিয়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালে ঘাটশিলা আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মামলা চলার অবশেষে গত ১ জুলাই তাঁকে বেকসুর খালাস করে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়ে খুশি শোভা ওরফে চন্দনা। তবে, ভবিষ্যতে তিনি কিভাবে জীবন অতিবাহিত করবেন তা নিয়ে এখনই কিছু মন্তব্য করতে চাননি তিনি। অন্যদিকে, শোভার স্বামী রাজেশ মুন্ডা এখনও বহরমপুর জেলে বন্দি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনিও মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এদিন মেদিনীপুর সংশোধনাগার চত্বরে শোভার দাদা তারক সিং ও বৌদি ছবি সিং বলেন, “শোভা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে আমরা কেউ জানতাম না। ছোট বয়সে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। এরপর আর খোঁজ পাইনি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর খোঁজ পেয়েছিলাম।” অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যা জয়শ্রী সরকার সহ আরো বেশকিছু মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা এদিন উপস্থিত ছিলেন শোভা-র মুক্তিক্ষণে। জয়শ্রী সরকার জানান, ১৫ বছর ধরে সংশোধনাগারে থাকাকালীন ঘাটশিলার মাওবাদী নাশকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যে মামলা চলছিল, তার বিচার ২০২২ সাল থেকে পেন্ডিং অবস্থায় পড়েছিল। অবশেষে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে সেই মামলা থেকে মুক্তি পান শোভা মুন্ডা।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুলাই: স্কুল ড্রেস পরেই বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। তবে,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ জুলাই: "৩ বছর আগে আলুর দাম ছিল ৩টাকা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জুলাই: ১ লাখ টাকার লেনদেন করলেই মিলবে অতিরিক্ত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জুলাই: টাকা-পয়সার লেনদেন জনিত কারণেই বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায়…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জুলাই: রাতের খাবার খাওয়ার পর চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ জুলাই: মানবসেবার ব্রত নিয়ে ছুটে চলেছেন ৫৩ বছরের…