দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ মার্চ: “রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোকে পলাশে/ রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত-আকাশে…!” খাতায় কলমে দোল আসতে এখনও এক সপ্তাহ বাকি।‌ তবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের ‘নির্মল বিদ্যালয়’ পুরস্কার প্রাপ্ত পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দোল এলো আজ (বুধবার)-ই! কচিকাঁচাদের নিজেদের হাতে তৈরি ভেষজ রং- এ রঙিন হল পলাশীর প্রাঙ্গণ। রং লাগলো ফুলের মতো শিশুদের কচি গালেও! বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, যেমন- ধনেপাতা, পালং শাক, বিট, গাজর, কাঁচা হলুদ, পুঁই এর পাকা বীজ প্রভৃতি থেকে রস বের করে অ্যারারুটে মিশিয়ে নানা রঙের ভেষজ আবির তৈরি করল মেদনীপুর সদর ব্লকের পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাঁচারা। আর, তার সাক্ষী হয়ে থাকলেন বেঙ্গল পোস্ট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও।

thebengalpost.net
আবির তৈরি:

ক’দিন বাদেই আপামর বাঙালির দোল উৎসব। অবাঙালিদের হোলি। তবে তার প্রায় ৫-৬ দিন আগেই কচিকাঁচারা নিজেদের কচি হাতে প্রকৃতির সজীব উপাদান থেকে তৈরি করল লাল-হলুদ-সুবজ-গোলাপি-গেরুয়া আবির। আর, টিফিনের বিরতিতে নিজেদের কচি-কাঁচা হাতে তৈরি সেই ভেষজ আবির নিয়ে তারা মেতে উঠলো খুশির দোলে। অপর্ণা, শুভ, কল্পনা, সোহম, বিশ্বজিৎ-দের কথায়, “স্যাররাই আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন। গত বছরও আমরা তৈরি করেছিলাম। এবার তাই সহজেই আমরা এই ভেষজ আবির তৈরি করেছি।” দুই সহ শিক্ষক কৌশিক কুমার লোধ, অসীম কুমার মন্ডল কিংবা পার্শ্ব শিক্ষক গোপীনাথ বাস্কে ও মামনি বেসরা বলেন, “হাতে-কলমে কচিকাঁচাদের পরিবেশ ও প্রকৃতি পাঠ দেওয়া সহজ হয়, তাই এই আয়োজন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কচিকাঁচারা জানল গাছ আমাদের বন্ধু। তাকে রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের।” ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৌম্য সুন্দর মহাপাত্র বলেন, “হাতে-কলমে শিক্ষা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই, এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে কচিকাঁচাদের শেখার ভিত যেমন মজবুত হয়, ঠিক তেমনই তাদের মধ্যে সৃজনশীল মানসিকতাও গড়ে ওঠে। সর্বোপরি, সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদানে তৈরি হওয়া এই আবির কচিকাঁচাদের জন্য খুবই নিরাপদ।”