দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুন: শুধুই হাহাকার! সাম্প্রতিককালের সবথেকে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়ে গেল কতশত পরিবার। চিরতরে হারিয়ে গেলেন আপনজনেরা। কোন পরিবারের একজন আবার কোন পরিবারের দু’জন জীবিত আছেন! আবার, কোন পরিবারের সকলেই মৃত কিংবা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সকলেই চিকিৎসাধীন। বেলা ৩টা পর্যন্ত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিভিন্ন জেলার অন্তত ৬০-৬৫ জন। আশঙ্কাজনক ৫-৬ জন। এঁদের মধ্যেই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের এক যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বছর ৩২’র যুবকের নাম রবিন নাইয়া। কোনমতে তিনি প্রাণে বাঁচলেও, রবিন হারিয়েছেন তাঁর ৩ কাকু সহ ৫ জনকে। একই পরিবারের এই ৬ জন চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন করমন্ডল এক্সপ্রেসে চেপে। মাঝপথেই সব শেষ!

thebengalpost.net
রবিনের শোকার্ত দিদি রেখা মন্ডল নাইয়া:

শনিবার দুপুরে মেদনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে শোকে পাষাণ হয়ে যাওয়া রবিনের বড়দিদি রেখা মন্ডল নাইয়া জানালেন, “আমাদের গ্রামের ১০ জন কাজের সূত্রে চেন্নাই যাচ্ছিলেন করমন্ডল এক্সপ্রেসে। আমাদের পরিবারের ৬ জন এবং পাশের বাড়ির ৪ জন। ২ জন বেঁচে আছেন। আমার ভাই রবিন এবং আরেকজন।” তাঁদের পরিবারের তিন কাকু সহ আরও দুই আত্মীয় প্রাণ হারিয়েছেন শতাব্দীর অন্যতম ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনায়। সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রবিন। মেদিনীপুর মেডিকেলে রবিনের জন্য রক্তের ব্যবস্থা করলেন মেদিনীপুরের সমাজকর্মী ফাকরুদ্দিন মল্লিক। তবে, রেড ভলেন্টিয়ারের সদস্যরাও প্রস্তুত আছেন। প্রস্তুত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বিজেপি সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরাও। তৎপর পুলিশ প্রশাসন এবং মেদনীপুর পৌরসভাও।