দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ জুলাই: বিধায়ক তহবিলের টাকায় খেলার মাঠের সৌন্দর্যায়ন ও প্রাচীর নির্মাণ ঘিরে বাসিন্দাদের দু’পক্ষের মতানৈক্যের জেরে বন্ধ হয়ে গেল কাজ। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর পৌরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের জুগনুতলা এলাকার। জুগনুতলা এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ তথা যুব সংঘের মাঠের সৌন্দর্যায়ন ঘিরে রবিবার দুপুরের পর এই অশান্তির সৃষ্টি হয়। জানা যায়, মেদিনীপুর শহরের জুগনুতলায় যুব সংঘ ক্লাবের সামনের খেলার মাঠের সৌন্দর্যায়নে স্থানীয় কয়েকজনের বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ দেখান ক্লাব সদস্য সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৬০-৭০ বছরের পুরানো এই খেলার মাঠ। বারংবার বিভিন্ন স্থানে আবেদন-নিবেদন করেও মাঠের উন্নতি হয়নি এতদিন। এদিকে, সন্ধ্যার পরই মাঠে দুষ্কৃতীদের উৎপাত বাড়ছিল! শেষমেষ, বর্তমান মেদিনীপুর পৌরসভার প্রচেষ্টায় মাঠের সৌন্দর্যায়নে মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দেন। সেই টাকায় গত কয়েকদিন আগে সৌন্দর্যায়ন ও প্রাচীর নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে যায়।

thebengalpost.net
জুগনুতলার মাঠ :

তবে, কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ৫-৬টি পরিবার বিভিন্ন ভাবে বাধা দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ ক্লাবের সদস্যদের। এনিয়েই রবিবার দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশ। এরপরই, মাঠের মালিকপক্ষ, স্থানীয় কাউন্সিলর, ক্লাব কর্মকর্তা এবং এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কোতোয়ালী পুলিশের তরফে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে যুব সংঘ ক্লাবের এক কর্মকর্তা জানান, আপাতত দু’মাস খেলার মাঠের সৌন্দর্যায়ন ও প্রাচীর নির্মাণের কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। তবে, ওই মাঠে কোন ধরনের গাড়ি পার্কিং করা যাবেনা বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে আলোচনায়। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির অভিযোগ ছিল প্রাচীর নির্মিত হলে তঁদের যাতায়াতের অসুবিধা হবে। অন্যদিকে, ক্লাবকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, যাতায়াতের জন্য মাঠের এক প্রান্তে ৮ ফুট রাস্তা ছাড়া হবে। অন্য প্রান্তে সরকারি পাকা রাস্তা আছেই। তাই কারুরই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাঁদের এও অভিযোগ, আসলে ব্যবসার ক্ষতি হবে বলে মাত্র পাঁচ-ছ’টি পরিবার এই কাজে বাধা দিচ্ছেন। কিন্তু, যেভাবে সন্ধ্যার পরই মাঠে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, মদ্যপান, গাড়ি পার্কিং প্রভৃতি নানা অত্যাচার চলে; তাতে অবিলম্বে প্রাচীর নির্মিত না হলে এই মাঠকে রক্ষা করা যাবে না!