দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর: প্রায় দু’বছর চেয়ারম্যান-বিহীন থাকার পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (DPSC) নতুন চেয়ারম্যান হলেন অনিমেষ দে। নারায়ণগড় ব্লকের গৈতা গ্রামের বাসিন্দা অনিমেষ পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বেলদা চক্রের) শিক্ষক। তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার সভাপতি পদেও আছেন অনিমেষ। তাঁর এই নতুন পদপ্রাপ্তিতে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের সদস্য-সদস্যারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ শিক্ষক নেতা তথা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তৎকালীন দাপুটে রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু বিষই। তবে, ২০২২ সালের ২৬ জুন, মাত্র ৯ মাসের মাথাতেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে ২০২২ সালের ২২ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেলে যেতে হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও! এদিকে, তারপর থেকেই চেয়ারম্যান-বিহীন ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর DPSC। কখনও ডিআই (প্রাথমিক) আবার কখনও জেলাশাসক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবশেষে, ২ বছর ৩ মাসের মাথায় নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক শিক্ষক নেতা অনিমেষ দে। বলাই বাহুল্য, শাসকদলের একাধিক শিক্ষক নেতাই চেয়ারম্যান পদের লড়াইতে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই আবার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলেছে শাসকদলের অন্দরে। শেষমেশ অবশ্য সকলকে ছিটকে দিয়ে প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনিমেষ দে।
প্রসঙ্গত, জেলার রাজনীতিতে অনিমেষ মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা-র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও, জেলার প্রায় সমস্ত বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেই তিনি সুসম্পর্ক রেখে চলেন বলে জানা যায়। সবংয়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়ারও অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত অনিমেষ। সর্বোপরি, শিক্ষক নেতা হিসেবে শাসক-শিবিরে অনিমেষের গ্রহণযোগ্যতার জন্যই তাঁর চেয়ারম্যান-পদপ্রাপ্তির পথ অনেকটা নিষ্কন্টক হয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের!