দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জানুয়ারি: রবি ঠাকুরের গল্পে কাদম্বিনী-কে ‘মরিয়া’ প্রমাণ করতে হয়েছিল আসলে ‘সে মরে নাই’। এখানে তেমনটা না হলেও, প্রশাসনের দপ্তরে হেঁটে-চলে গিয়ে বলতে হচ্ছে যে তাঁরা দিব্যি বেঁচে আছেন! তারপরই আশ্বাস মিলছে, তাঁর ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে বলে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের পূর্ণিমা বারিকের পর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ঘাটালের দীপালি মাণ্ডি। গত মাসে (৮ ডিসেম্বর) দাসপুরের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণবাড় গ্রামের ‘সুস্থসবল’ গৃহবধূ পূর্ণিমা-র ক্ষেত্রে যা হয়েছিল, এবার ঘাটাল ব্লকের সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরান গ্রামের দীপালি-র ক্ষেত্রেও তাই হল! হঠাৎ করেই বন্ধ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। খোঁজ নিয়ে জানলেন, তিনি প্রশাসনের খাতায় ‘মৃত’! তারপরই, হাতেনাতে সমস্ত প্রমাণ দিতে হল যে, তিনি দীপালি মাণ্ডি, রীতিমত সুস্থ ভাবে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে সংসার করছেন। সপ্তাহ খানেক আগেই আশ্বাস মিলেছে যে তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পুনরায় চালু হয়ে যাবে।

thebengalpost.net
দীপালি মাণ্ডি:

প্রসঙ্গত, দীপালি মাণ্ডির অভিযোগ, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পাচ্ছেন না। আধার কার্ডের নম্বর ধরে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখেন, সেখানে দেখানো হচ্ছে দীপালি মৃত! এরপর, নিজেকে জীবিত প্রমাণের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন সকলের কাছে প্রতিনিয়ত ছুটতে হয়েছে তাঁকে। তবে, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এখনও চালু হয়নি দীপালির। এদিকে, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাসিক হাজার টাকা করে না পাওয়ায় দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারও সমস্যায় পড়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি পরিচালিত সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৌশিক জানা বলেন, “এর আগের তৃণমূল বোর্ড গন্ডগোল করেছিল। আমরা বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসন, সকলকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”