দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ ডিসেম্বর: ভিন রাজ্যে মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী! মৃতদেহ আনতে হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাড়িতে। এমনই দাবি করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালালো মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার বেলেঘাটা এলাকায়। জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে দাসপুর বেলেঘাটার বাসিন্দা শম্ভু পালের ছেলে দীপঙ্কর পালের সাথে বিয়ে হয় ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা সুইটি দোলইয়ের। সুইটির পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগে থাকত সংসারে! সংসারে অশান্তির জেরে বিবাহ বিচ্ছেদের আলোচনাও শুরু হয়। তবে, দাসপুরের বেলেঘাটায় স্থানীয় পঞ্চায়েত একবার মীমাংসা হয়। শ্বশুরবাড়ি থেকে আর একবার সুযোগ চাওয়া হয়!
এরপর, মীমাংসা হয়ে যাওয়ায়, দীপঙ্কর তার স্ত্রী (সুইটি পাল)-কে নিয়ে মাস দুয়েক আগে মুম্বাই চলে যায়। গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামে সুইটি-র বাপের বাড়িতে ফোন। জানানো হয়, মুম্বাইয়ে তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে! সুইটি-র বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয় তাদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী দীপঙ্কর পাল। তারপরই মেয়ের মৃতদেহ মুম্বাই থেকে দাসপুরে নিয়ে এসে সৎকার করার দাবি তোলা হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকরা এই দাবি মেনে না নেওয়ায়, সোমবার দুপুর নাগাদ বেলেঘাটাতে সুইটির শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালায় বাপের বাড়ির লোকজন। তাদের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী! মেয়ের মৃতদেহ ভিন রাজ্য থেকে দাসপুরে আনতে হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।