নিজের গড়েই বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী শ্রীকান্ত:
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ জুলাই: “৩ বছর আগে আলুর দাম ছিল ৩টাকা প্রতি কেজি। আর এখন ১৬টাকা-১৮টাকা। এই তিন বছরে আপনাদের বেতন কতটা বেড়েছে? আর আমাদের বাড়িয়েও কেটে নেওয়া হলো! বলুন তো কোন রাজ্যে এমনটা হয়েছে, কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে তারপর সরকার টাকা কেটে নিয়েছে!” নিজের গড়েই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে বেসামাল রাজ্যের ক্রেতা, সুরক্ষা ও উপভোক্তা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। ওই আইসিডিএস বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আরও প্রশ্ন, “কেন্দ্রীয় সরকার দুই দফায় আমাদের স্মার্টফোনের জন্য প্রথমে ৮,০০০ ও পরে ১০,০০০ টাকা দেয়। সেই টাকা কোথায় গেল? রিচার্জ বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার সাড়ে তিনশ টাকা করে দেয়, আর আমাদের দেওয়া হচ্ছে ১৬৬টাকা করে! আচ্ছা বলুন তো, কোন কোম্পানি ১৬৬ টাকায় স্মার্টফোন রিচার্জ করতে দেয়! অথচ আমাদের যে কাজ দেওয়া হয়েছে তাতে 5G নেটওয়ার্ক ছাড়া কাজ করতেই পারবো না।” এমনই একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে, সঠিক উত্তর দিতে না পেরে কার্যত এলাকা ছাড়লেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত।
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন করছেন আইসিডিএস বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনা রোড এলাকার। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ব্লকের সিডিপিও-র কাছে একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। আর সেই সময়ই বিডিও অফিস থেকে বেরোচ্ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। তাঁকে কাছে পেয়েই ঘিরে ধরেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তাঁর কাছে জানতে চান, কেন আইসিডিএস কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছেনা এবং মোবাইল ফোনের টাকা দেওয়া হচ্ছে না! রিচার্জের টাকাও নামমাত্র দেওয়া হচ্ছে। সরকারের নির্দেশ মতো একসময় তাঁরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সাজিয়েছেন। এখন আর তাঁরা পেরে উঠছেন না! আলুর দাম যেখানে ১৬-১৮ টাকা, সেখানে তাঁরা পাচ্ছেন মাত্র ৩ টাকা। তাতে কি করে সম্ভব? মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের ভাতা বাড়লেও, কেন আইসিডিএস কর্মীদের বেতন বাড়ছে না।
এনিয়ে শনিবার মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত বলেন, “ওঁরা সিডিপিও-কে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলেন। আমি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তাই নিজে থেকেই গিয়ে ওদের সমস্যার কথা শুনতে চেয়েছিলাম। ওঁরা বললেন, সিডিপিও-কে ডেপুটেশন দিয়েছি। আমার কাছেও ডেপুটেশন কপি আমার পাঠাবে বলেছে। তারপর ওদের দাবির বিষয়গুলি আমি যথাস্থানে পাঠিয়ে দেব।” মন্ত্রী এও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সব প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে, তারপরেও আমাদের সরকার এসে ওদের বেতন বাড়িয়েছে!” মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে জেলা বিজেপি-র সহ-সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, “মন্ত্রীকে আইসিডিএস কর্মীরা তাঁদের সমস্যা এবং দাবির কথা জানাচ্ছিলেন, সেখানে সঠিক ব্যাখ্যা না দিয়েই ভুলভাল কথা বলে পালিয়ে যাচ্ছেন! এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকার নয়-ছয় করছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা এদিন সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছেন!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুলাই: স্কুল ড্রেস পরেই বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। তবে,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জুলাই: ১ লাখ টাকার লেনদেন করলেই মিলবে অতিরিক্ত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জুলাই: টাকা-পয়সার লেনদেন জনিত কারণেই বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায়…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ২৫ জুলাই: ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ কান্ডে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জুলাই: রাতের খাবার খাওয়ার পর চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ জুলাই: মানবসেবার ব্রত নিয়ে ছুটে চলেছেন ৫৩ বছরের…