দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জুলাই: ১ লাখ টাকার লেনদেন করলেই মিলবে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা! আর এই অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকার ফাঁদে পা দিয়েই শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে ঘটে যায় ভয়াবহ ছিনতাই। তিনটি বাইকে করে এসে ৪ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ছয় দুষ্কৃতী। তবে, অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যেই ছয় দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রায় পুরো টাকাটাই। পুলিশের এই সাফল্যে অভিভূত জেলাবাসী।
ফোনে এসেছিল এক প্রলোভনমূলক অফার- এক লাখ টাকার লেনদেনে মিলবে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত! সেই অফার যাচাই করতেই শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল আনুমানিক ৩টে নাগাদ দাসপুর থানার নাড়াজোলের আমডাংরা মাঠে প্রলোভন দেওয়া ব্যক্তির সাথে দেখা করেছিলেন দুই বন্ধু যথাক্রমে সুদীপ পাল ও শুভেন্দু দন্ডপাট। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার খামারগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা, দুই বন্ধু নগদ ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই সময় আচমকা তিনটি বাইকে করে ছ’জন দুষ্কৃতী এসে তাঁদের উপর হামলা চালায়। মারধর করে ছিনিয়ে নেয় নগদ টাকা। তারপর চম্পট দেয় ওই এলাকা থেকে। জানা যায়, এই টাকার পুরোটাই ছিল সুদীপের। সুদীপ বলেন, কয়েক দিন আগেই এক অচেনা ব্যক্তি ফোনে এই লোভনীয় অফার দেন। প্রাথমিক কথাবার্তার পর তিনি দেখা করেন এবং পরে নাইলনের ব্যাগে টাকা নিয়ে সরাসরি দেখা করতে যান। শুক্রবার বিকেলে সেখানেই ঘটে যায় ছিনতাই! সুদীপের কথায়, “তিনটি বাইকে ৬ জন এসে আমার নাইলনের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। আর যাওয়ার সময় বলে যায়, কাউকে কিছু বললে, প্রাণে মেরে ফেলব! আমি গোটা রাস্তা কাঁদতে কাঁদতে পুলিশ স্টেশনে যাই।”
এরপরই দাসপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুদীপ। আর তারপরই চমকে দেওয়ার মতো তৎপরতা দেখায় দাসপুর থানার পুলিশ তথা ঘাটাল মহকুমা পুলিশ। দাসপুর থানার ওসি অঞ্জনি তেওয়ারির নেতৃত্বে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। আশেপাশের সবকটি থানাকে সতর্ক করে দেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) দুর্লভ সরকার। ফলস্বরূপ, অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যেই শুক্রবার রাতে দাসপুর থানারই বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ছয় দুষ্কৃতীকে। সেইসঙ্গেই উদ্ধার করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা এবং তিনটি বাইক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা হলেন- সুজয় দাস (কুঞ্জপুর কল্মীজোড়), জয়ন্ত মান্না (সালামপুর), বিমল মন্ডল (ব্রাহ্মণবসান), উৎপল সেনাপতি (কাদিলপুর), সন্তু কালসার (নাড়াজোল) ও বলরাম দাস (ডিহিপলসা)। এর মধ্যে বলরামের বাড়ি থেকেই বেশিরভাগ টাকাটা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসডিপিও দুর্লভ সরকার। পুলিশ সূত্রে এও জানা গেছে, সুজয় এবং বলরাম সম্পর্কে মামা-ভাগ্না। মামা সুজয়ই ফোন করে প্রলোভন দিয়েছিলেন সুদীপ ও শুভেন্দুকে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যেই ঘাটাল মহকুমা পুলিশ তথা দাসপুর থানার পুলিশ এই সাফল্য পেয়েছে। পুরো টিম খুব ভালো কাজ করেছে।” এসডিপিও দুর্লভ সরকার বলেন, “ধৃতদের শনিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেইসঙ্গেই এই ঘটনায় আরও কেউ বা কারা যুক্ত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুলাই: স্কুল ড্রেস পরেই বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। তবে,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ জুলাই: "৩ বছর আগে আলুর দাম ছিল ৩টাকা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জুলাই: টাকা-পয়সার লেনদেন জনিত কারণেই বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায়…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ২৫ জুলাই: ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ কান্ডে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জুলাই: রাতের খাবার খাওয়ার পর চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ জুলাই: মানবসেবার ব্রত নিয়ে ছুটে চলেছেন ৫৩ বছরের…