দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: “পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এস.পি রাজ্যে অভিষেক ব্যানার্জির এক নম্বর দালাল। দালাল বাপের দালাল ব্যাটা এখানকার এস.পি। এই জেলায় যেভাবে তোলাবাজি করছে তারই বিরুদ্ধে আজ এই আন্দোলন। গ্রামেগঞ্জে যেভাবে বিজেপি কর্মীদের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, মিথ্যে কেস দেওয়া হচ্ছে; এখানকার এসপি ধৃতিমান সরকার নয় আমি তার নাম দিয়েছি, ধূর্তমান সরকার! একটা ধূর্তমান পুলিশ অফিসার পুরো এলাকা জুড়ে তোলাবাজি করছে। আমাদের দাবি এস.পিকে এখান থেকে অপসারণ করতে হবে। গায়ের জোর দেখাচ্ছে এসপি। এখানে শুনছিলাম এখানকার আইসি রাজীব পাল নাকি এলাকায় এলাকায় গিয়ে বাইকের চাবি ছাড়াচ্ছে। কেস দিচ্ছে, আর টাকা কামাচ্ছে। এর কারণ, তাকেও তো পেট চালাতে হবে! মেদিনীপুরের এস.পি নাকি খড়্গপুরে বাড়ি করেছে। খড়্গপুরে থাকছে। যখন খড়্গপুরে থাকছে তখন সমস্ত কালেকশন তো এসপি-ই নিয়ে যাবে। আই.সির ভাগ্যে জুটবে কি! তাই, আইসি গলিতে গলিতে গিয়ে বাইক ধরে টাকা কামাচ্ছে। আজ এই অবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে টাউন থানা!” পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং জেলা পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবিতে বুধবার দুপুরে বিজেপি যুব মোর্চার খড়্গপুর টাউন থানা ঘেরাও অভিযানে ঠিক এভাবেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার-কে ‘নজিরবিহীন’ কটাক্ষ করেন বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিক।

thebengalpost.net
বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিক:

নিজের বক্তৃতায় আশীর্বাদ আরও বলেন, “এক নম্বরের চামচা! অভিষেকের দালাল। এখানে এসে চামচামি করছে আর দালালি করছে। আর বলছে খড়্গপুরকে সামাল দিতে এসেছে। ওরে বাপের বেটা এসপি, তুই জানিস এখানে কে থাকে? খড়গপুর দিলীপ ঘোষের এলাকা। বাঘের বাচ্চা দিলীপ ঘোষ। তোর মত ১০০-টা এস.পিকে পকেটে পুরে রাখতে পারে। দুই পিসি-ভাইপো মিলে গেছে দিল্লি। কেন দিল্লি যাচ্ছে? তার কারণ পিসি বুঝে গেছে খেলা শেষ! মমতা ব্যানার্জি এখন বলছেন, ‘মোদি বাবা পার কারেগা।’ কিন্তু, তোমাকে কে বাঁচাবে এসপি? তোর বাবা যে যাচ্ছে দিল্লি। আর সেই বাপের ব্যাটা এসপি, তোমাকে কে বাঁচাবে? মেদিনীপুর জেলার সমস্ত বিজেপি কর্মী তোমাকে মেদিনীপুর জেলা ছাড়া করাবে। আমাদের সঙ্গে লাগার চেষ্টা তুমি করো না। তোমার অওকাত বুঝিয়ে দেব! আমাদের গালে একটা থাপ্পড় পড়লে, দশটা থাপ্পড় মারার ক্ষমতা আমরা রাখি।”

এই বিষয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, আশীর্বাদ-কে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েননি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা। সুজয় বলেন, “প্রথমত যার বিরুদ্ধে তাদের দলেরই এক মহিলা কর্মী কুপ্রস্তাব দেওয়ার অডিও ফাঁস করেছিলেন; সেরকম ‘চরিত্রহীন-নেতা’র বিরুদ্ধে কিছু বলতে রুচিতে বাধে। আসলে যাকে নেতা হিসেবে জেলায় কেউ চেনেই না, নিজের ওয়ার্ডে ৫০০টা ভোট পেতেও কেঁদে ফেলে; সে শুধু মিডিয়ার নজরে আসার জন্য এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করেছে। তবে, ওদের দলের বাবা-কাকাদের থেকেই এই সমস্ত নেতারা এই শিক্ষা পাচ্ছে। শুধু এটুকুই বলবো, বিজেপির ওই যুব নেতা আবার নিজের চরিত্র চেনাল!” জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “SP নিজের যোগ্যতায় আইপিএস অফিসার হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে এই সমস্ত নেতার দশ বার ভাবা উচিত ছিল। আসলে ওদের এরকমই শিক্ষা! মানুষই এর জবাব দেবে। ‘২৪- এর নির্বাচনে মানুষ ভালো করে জবাব দিয়ে দেবে।”

thebengalpost.net
পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা :